সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় আওয়ামী লীগ-পুলিশের সঙ্গে বিএনপির ত্রিমুখী সংঘর্ষে ছয় পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল এলাকা থেকে ৫টি ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে।
বিএনপির দাবি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া ও জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদের গাড়ীসহ ৪টি গাড়ীও ভাংচুর করেছে।
কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাতে রাব্বি উত্থান জানান, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে কামারখন্দ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে ফেরার সময় কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় । এসময় পুলিশও নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালায়। এ ঘটনায় ১৪ থেকে ১৫ জন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
রেজাতে রাব্বি উত্থান বলেন, এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পাপিয়া ও জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদের গাড়ীসহ ৪টি গাড়ীও ভাংচুর করেছেন।
এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা অভিযোগ করেছেন কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন শেখ। তিনি বলেন, তাদের মধ্যেই গ্রুপিং রয়েছে। দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে স্টেশন এলাকায় আওয়ামী লীগের ৬ থেকে ৭ জন নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরন্নবী প্রধান জানান, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। বাধ্য হয়ে গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।’
ভোরের আকাশ/আসা