অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ব্যাংকের অবস্থা কোথায় খারাপ তা খতিয়ে দেখা হবে। দেশের ব্যাংকগুলোর বর্তমান হালচাল নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, ব্যাংকের অবস্থা কোথায় খারাপ লিখিত দিয়ে যান, আমরা খতিয়ে দেখব।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গৃহনির্মাণ ঋণ ব্যবস্থাপনা মডিউলের উদ্বোধনীর পর ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, হিসাব মহানিয়ন্ত্রক মো. নুরুল ইসলাম এবং অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুরশেদুল কবীর বক্তব্য দেন ।
গৃহনির্মাণ ঋণ ব্যবস্থাপনা মডিউল প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম করেছে, তা দ্রæত বাস্তবায়ন করতে হবে। মুস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে সরকারি কর্মচারীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা’ প্রণয়ন করা হয়।
তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারি কর্মচারী, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের শিক্ষক/কর্মচারী এবং প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের জন্য গৃহনির্মাণ ঋণ কার্যক্রম চলমান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গৃহনির্মাণ ঋণের জন্য এখন যে ব্যবস্থা চালু রয়েছে তাতে দেখা যায় অধিকাংশ সময় একজন আবেদনকারীর আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে বেশ সময় লেগে যায়। আবেদনের অবস্থা কী বা কোন পর্যায়ে আছে সেটা জানারও কোনো সুযোগ আবেদনকারীর থাকে না।
তিনি বলেন, ঋণ আবেদন প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজ করা হলে এ ধরনের সমস্যা অনকোংশে দূর হবে বলে আশা করা যায়। একই সঙ্গে আবেদনকারী সরাসরি অনলাইনে অর্থ বিভাগে আবেদন করতে পারবেন এবং ব্যাংক ও মন্ত্রণালয় মিলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অর্থ বিভাগ থেকে সুদ ভর্তুকির মঞ্জুরি আদেশ জারি করা সম্ভব হবে।
ভোরের আকাশ/নি