পেশাদার সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মুরসালীন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মাইনুল হাসান সোহেল।
সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ে বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এক হাজার ৭৪৪ জন ভোটের মধ্যে এক হাজার ৪৫৭ জন ভোট দিয়েছেন।
সভাপতি পদে মুরসালীন নোমানী পেয়েছেন ৬৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কবির আহমেদ খান পেয়েছেন ৫৪৩ ভোট। এছাড়া নজরুল ইসলাম মিঠু পেয়েছেন ২৬৪ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন ছয়জন। এ পদে মাইনুল হাসান সোহেল ৪২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহিউদ্দিন পেয়েছেন ৩৮৩ ভোট। একই পদে জামিউল আহসান সিপু ২৪৭ ভোট, শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন (শেখ জামিল) ২৬০ ভোট, আরাফাত ৭২ ভোট ও আফজাল বারী পেয়েছেন ৫৫ ভোট ।
এছাড়া সহ-সভাপতি পদে দীপু সারোয়ার ৮২৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গ্যালমান শফি পেয়েছেন ৫৯১ ভোট।
যুগ্ম সম্পাদক পদে ৫০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মঈনুল আহসান। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফারুক খান পেয়েছেন ২৮৬ ভোট। এছাড়া পবন আহমেদ পেয়েছেন ২৪৪ ভোট, নয়ন মুরাদ ২০৮ ভোট এবং কামাল মোশারেফ পেয়েছেন ১৫২ ভোট।
অর্থসম্পাদক পদে ৭১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন সুমন। প্রতিদ্বন্দ্বী জাকির হোসাইন পেয়েছেন ৫৮৩ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৮৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন সাইফুল ইসলাম । প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুল হাই তুহিন পেয়েছেন ৫২৪ ভোট।
দপ্তর সম্পাদক পদে ৮০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন কাওসার আজম। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রফিক রাফি পেয়েছেন ৫৫৮ ভোট।
নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে ৭৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মরিয়ম মনি (সেঁজুতি)। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রোজিনা রোজী পেয়েছেন ৬৪৭ ভোট।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৭৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন কামাল উদ্দিন সুমন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মেজবাহ উল্লাহ শিমুল পেয়েছেন ৫৫৭ ভোট।
তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদকের পদে ৭৯২ ভোট পেয়ে তোফাজ্জল হোসেন রুবেল বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. রাশিম (রাশিম মোল্লা) পেয়েছেন ৫৫৮ ভোট ।
ক্রীড়া সম্পাদক পদে ৭২০ ভোট পেয়ে মাহবুবুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. রকিবুল ইসলাম মানিক পেয়েছেন ৬১২ ভোট।
সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ৭৩৮ ভোট পেয়ে মিজান চৌধুরি ৫ম বারের মত নির্বাচিত হয়েছেন।প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. শাহাবুদ্দিন মাহতাব
আপ্যায়ন সম্পাদক পদে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন নির্বাচিত হয়েছেন।
কল্যাণ সম্পাদক পদে ৬৬৪ ভোট পেয়ে তানভীর আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাহাঙ্গীর কিরণ পেয়েছেন ৬২৫ ভোট।
কার্যনির্বাহী সদস্যের সাতটি পদের জন্য প্রার্থী ছিলেন নয়জন। দুইজন নির্বাচিত হতে পারেননি।
কার্যনির্বাহী সদস্য পদে ৯৩০ ভোট পেয়ে মনিরুল ইসলাম মিল্লাত (মনির মিল্লাত), ৭৭২ ভোট পেয়ে ইসমাঈল হোসাইন রাসেল (রাসেল আহমেদ), ৭৫১ ভোট পেয়ে মহসিন বেপারী, ৬৮৩ ভোট পেয়ে মোজাম্মেল হক তুহিন, ৬৭২ ভোট পেয়ে কিরণ সেখ, ৬৪৮ ভোট পেয়ে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান (সুমন) এবং ৬৩৪ ভোট পেয়ে মো. ইব্রাহিম আলী (আলী ইব্রাহিম) নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্য দুইজনের মধ্যে মো. ফারুক আলম পেয়েছেন ৫৮৩ ভোট এবং মো. শরীফুল ইসলাম পেয়েছেন ৪৫৩ ভোট।
ভোরের আকাশ/আসা