ঢাকা জজকোর্ট এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্কিং নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসি, গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটক কোম্পানির কাছে বুধবার ই-মেইলযোগে নোটিশটি পাঠানো হয়।
ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং লিগ্যাল এইড নামের আইন সেবা প্রদানবিষয়ক দুটি সংগঠনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার এবং অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইমরুল কায়েস খান এ নোটিশ দিয়েছেন।
নোটিশে আদালত এলাকায় নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধান, নেটওয়ার্ক পুনঃস্থাপন করা এবং বিরামহীনভাবে নেটওয়ার্ক চালু করতে ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, ঢাকা জজকোর্ট দেশের লাখো বিচারপ্রার্থী মানুষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। ঢাকা আইনজীবী সমিতি এশিয়ার বৃহত্তম বার অ্যাসোসিয়েশন। আদালত প্রাঙ্গণে প্রতিদিন লাখো মানুষের জমায়েত হয়। এখানে হাজার হাজার আইনজীবী তাদের পেশাগত কাজ করছেন। বিচারপ্রার্থীসহ দেশের অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন এ অঙ্গনে আসছেন। শতাধিক বিচারক তাদের বিচারিক কাজ করছেন। এখানে আগত প্রত্যেকেই তাদের প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন। পেশাগত কাজে অনেকেই তাদের মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। সম্প্রতি এ অঙ্গনের অনেক জায়গায় কোনো নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। কিছু কিছু জায়গায় নেটওয়ার্ক থাকলেও তা অত্যন্ত দুর্বল। মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট কানেকশন না থাকায় আদালতের বিচারিক এবং আইনজীবীদের পেশাগত কাজে ভীষণ বিঘ্ন ঘটছে। একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ এবং ইন্টারনেট সেবা থেকে সবাই বঞ্চিত হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত এ সমস্যার সমাধান প্রয়োজন।
নোটিশে আরো বলা হয়েছে, মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম তদারকি এবং সেবার মান নিশ্চিত করতে বিটিআরসির আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ভোরের আকাশ/আসা