logo
আপডেট : ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৫:০৯
ইকুয়েডরকে হারিয়ে শেষ ষোলোতে সেনেগাল
ক্রীড়া ডেস্ক

ইকুয়েডরকে হারিয়ে শেষ ষোলোতে সেনেগাল

গ্রুপের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে সেনেগাল। বিশ্বকাপের মঞ্চে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার গ্রুপ পর্ব পার করল সেনেগাল।

 

এই গ্রুপ থেকে শেষ ষোলো নিশ্চিত করা অন্য দল নেদারল্যান্ডস। নিজেদের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ২-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক কাতারকে।

 

গ্রুপ পর্বের ৩ খেলা শেষে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোর টিকিট পায় নেদারল্যান্ডস। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে শেষ ষোলোতে সেনেগাল। ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে ইকুয়েডর। ৩ ম্যাচের ১টিতেও জিততে না পেরে খালি হাতে বিশ্বকাপ শেষ করল স্বাগতিক কাতার।

 

প্রথম দুই ম্যাচ থেকে ইকুয়েডর ৪ ও সেনেগাল ৩ পয়েন্ট পায়। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ যে দল জিতবে তারাই শেষ ষোলোতে খেলবে। যদি ড্র হয় পরের রাউন্ডের টিকিট পাবে ইকুয়েডর। এমন সমীকরণ নিয়ে দোহার খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ইকুয়েডর ও সেনেগাল।

 

ম্যাচের প্রথম ১২ মিনিটে তিনটি আক্রমণ করে সেনেগাল। ৩ মিনিটে মিডফিল্ডার ইদ্রিসা গুয়ের শট প্রতিপক্ষের বারের পাশ দিয়ে চলে যায়। ৮ মিনিটে স্ট্রাইকার বুলয়ালে ডিয়ার শট প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পায়নি।

 

১২ মিনিটে মধ্যমাঠ থেকে বল পেয়ে ইকুয়েডরের বক্সের ভেতর থেকে গোলবারের ওপর দিয়ে মারেন স্ট্রাইকার ইলিমান এডিয়ায়ে। এরপর ২৪ ও ২৫ মিনিটে দুটি আক্রমণ করেও কোনো গোল পায়নি সেনেগাল। এরপর ৩৬ মিনিটে পায় ফ্রি কিক । ফ্রি কিক থেকে ডিফেন্ডার ইসমাইল জ্যাকবের নেয়া মিডফিল্ডার পাথে সিসের হেড গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।

 

একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে ইকুয়েডরকে চাপে রেখেও ৪০ মিনিট পর্যন্ত গোল পায়নি সেনেগাল। অবশেষে ৪২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে নেয় তারা। দলের ডি বক্সের মধ্যে সেনেগালের স্ট্রাইকার ইসমাইলা সারকে ফাউল করেন ইকুয়েডরের ডিফেন্ডার পিয়েরো হিনক্যাপি। তারপর পেনাল্টি থেকে ইসমাইলা সার গোল করেন। সারের গোলেই এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে সেনেগাল (১-০)।

 

মূলত প্রথমার্ধে বল নিয়ে সেনেগালের বক্সের ভেতর ঢুকতেই পারেনি ইকুয়েডর। বল দখলেও পিছিয়ে ছিল তারা। ৩৩ শতাংশ বল আয়ত্তে রাখতে পেরেছিল ইকুয়েডর।

 

বিরতি থেকে ফিরেই প্রথম আক্রমণ করে ইকুয়েডর। ৪৯ মিনিটের ওই আক্রমণ থেকে গোলের দেখা পায়নি তারা। এই অর্ধের শুরুতেই আক্রমণাত্মক ছিল ইকুয়েডর। এ জন্য লিড ধরে রাখতে ডিফেন্সিভ হয়ে যায় সেনেগাল।

 

তারপরও আক্রমণ অব্যাহত রেখে ৬৭ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনে ইকুয়েডর। ডিফেন্ডার ফেলিক্স তোরেসের কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে সেনেগালের বক্সের ভেতর থেকে জোরালো শটে গোল করেন মিডফিল্ডার মোয়েসেস কেইসেডো।

 

সমতা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ইকুয়েডর। ৭০ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় সেনেগাল। বাঁ-প্রান্ত দিয়ে হওয়া আক্রমণে ইকুয়েডরের বক্সের ভেতর বল পেয়ে ডিফেন্ডার কালিদু কুলিবালি ডান পায়ের শটে গোল করলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় সেনেগাল।

 

ম্যাচের বাকি সময়ে গোল পরিশোধের চেষ্টা করেও পারেনি ইকুয়েডর। রক্ষণাত্মক কৌশলে থেকে ইকুয়েডরের আক্রমণগুলো দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করে সেনেগালের ডিফেন্ডার ও মধ্যমাঠের খেলোয়াড়রা।

 

ইনজুরি সময়ের চতুর্থ মিনিটে ম্যাচের শেষ সুযোগ পায় ইকুয়েডর। মিডফিল্ডার জেরেমি সারমিনেটোর ক্রস বক্সের ভেতর থেকে হেড নেন ডিফেন্ডার জ্যাকসন পোরোজো। তবে তার হেড নেয়া বল বারের পাশ দিয়ে চলে যায়। সপ্তম মিনিটে ম্যাচে ইতি টানেন রেফারি। ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে শেষ ষোলোতে উঠে সেনেগাল।

 

২০০২ সালের পর আবারও গ্রুপ পর্ব পার করল সেনেগাল। ওই আসরেই প্রথম গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল তারা।

 

ভোরের আকাশ/নি