logo
আপডেট : ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৮:০৬
জয়পুরহাটে পরিবহন ধর্মঘটে জনদুর্ভোগ
জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটে পরিবহন ধর্মঘটে জনদুর্ভোগ

মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধ ও প্রশাসনের হয়রানি বন্ধসহ ১১ দফা নিয়ে রাজশাহীর আট জেলায় সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক পরিষদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ফলে বন্ধ রয়েছে এসব জেলার সব ধরনের যাত্রীবাহী পরিবহন। বন্ধ রয়েছে বগুড়া, রাজশাহী ও জয়পুরহাটের দূরপাল্লার বাসও। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

 

ধর্মঘটের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজশাহীর অন্যান্য জেলার মতো জয়পুরহাটেও শুরু হয়েছে ধর্মঘট। জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালসহ জেলার সব বাসস্ট্যান্ডগুলো বন্ধ রয়েছে। কোনো ধরনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না।

 

সকাল থেকে জয়পুরহাটের একাধিক বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, বাসগুলো টার্মিনালে সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সাধারণ যাত্রীরা যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু কোনো ধরনের বাসের দেখা পাচ্ছেন না। স্বল্প দূরত্বের যাত্রীরা সিএনজি অটোরিকশা কিংবা ছোট ছোট যানে রওনা দিলেও দূরের যাত্রী ও ছাত্রছাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে।

 

খাইরুল ইসলাম নামের বগুড়ার এক যাত্রী বলেন, আজ সকালে বাস না পেয়ে রাজশাহী থেকে জয়পুরহাটে এলাম খুব কষ্ট করে। এখানে এসেও দেখি কোনো বাস চলছে না। তাই সিএনজি করে বগুড়া যেতে হবে। এতে করে অনেক বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে।

 

কেন এই পরিবহন ধর্মঘট? আমাদের মতো সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ তৈরি করে তাদের কি লাভ? রাজনীতির মারপ্যাঁচে আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের কেন এমন দুর্ভোগে পড়তে হবে? এমন দুর্ভোগ আমরা আশা করি না।
এদিকে, ধর্মঘটকে রাজশাহীর গণসমাবেশকে ঠেকানোর জন্য সরকারের নীলনকশা ও ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন জয়পুরহাটের বিএনপির নেতাকর্মীরা।

 

জয়পুরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান বলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ ঠেকাতে ইতোমধ্যে শত শত নেতাকর্মীর নামে পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে মিথ্যা মামলা করে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে। একইসঙ্গে পরিবহন ধর্মঘট ডেকে সাধারণ মানুষদের অসুবিধায় ফেলছে। ইতোমধ্যে হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশস্থলের আশপাশে উপস্থিত হয়েছেন। ধর্মঘট দিয়েও গণসমাবেশে মানুষের উপস্থিতি কমাতে পারবে না।

 

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে জয়পুরহাট মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক রফিক জয় বলেন, ১০ দফায় আমরা পূর্বেই আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। আমরা রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলাম। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের এই ধর্মঘট। কারো সমাবেশের জন্য এই ডাকা হয়নি।

 

ভোরের আকাশ/নি