জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আর্ত মানবতার সেবায় সমাজ বিনির্মাণে এদেশের নারীরা সর্বদা আন্তরিক। অসীম সাহসী নারীদের আজীবন সংগ্রামের কারণেই বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে অধ্যাপক ডা. জোহরা কাজী পরিষদ আয়োজিত স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এবং উপ উপাচার্য মো. জাহিদ হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ উপমহাদেশের প্রথম বাঙালি মুসলিম চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজী মা ও প্রসূতি চিকিৎসায় সারাজীবন কাজ করছেন। তার আত্মত্যাগের কারণে মা ও প্রসূতিরা ঐসময়ে বসে সুচিকিৎসা পেয়েছেন। তার অবদানকে সবার মনে রাখা দরকার। এজন্য যার যার অবস্থান থেকে অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজীর অবদান রক্ষায় কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে তাঁর স্মৃতিকে স্মরণ রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মা ও প্রসূতি বিভাগের ওয়ার্ডকে অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজীর নামকরণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে দুদক কমিশনার ও অধ্যাপক ডা. জোহরা কাজী পরিষদের সভাপতি ড. মোজাম্মেল হক খানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. নাজমুল করিম মানিক এবং প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক ডা. লতিফা শামসুদ্দিন।
স্পিকার বলেন, ‘অধ্যাপক ডা. জোহরা কাজী দীর্ঘ, বর্ণাঢ্য ও কর্মময় জীবনে একাগ্রভাবে আর্ত মানবতার সেবায় কাজ করে গেছেন। তিনি ভাষা আন্দোলনে ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আহতদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করেছেন। ঢাকা মেডিকেলে তিনিই প্রথম মহিলাদের আলাদাভাবে চিকিৎসাসেবা পাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।’
ডা. কাজী জোহরার আদর্শে চিকিৎসকরা অনুপ্রাণিত হলে মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সূচকগুলো অর্জন করা সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্পিকার।
ভোরের আকাশ/আসা