ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করা হয়েছে। রিট আবেদনে এই নিয়োগের বিষয়টি তদন্ত করতে দুদকের প্রতি নির্দেশনা দেয়ার আরজি জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন রোববার হাইকোর্টে এ আবেদন দাখিল করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, নিয়োগের মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষার মার্কশিটে ঘষামাজা ছিল। সেখানে ফলাফল জালিয়াতির মাধ্যমে তাকসিম এ খান ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
পরে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন জানান, ২০০৯ সালে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। এই নিয়োগ পরীক্ষায় নম্বরে ঘষামাজা করে, জাল-জালিয়াতি করে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। ওয়াসার এমডি হতে হলে যে ধরনের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার, সেটা তার ছিল না।
নিয়োগের শর্তানুযায়ী পয়ঃনিষ্কাশন বা অন্য কোনো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কাজের কম করে হলেও ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার, সেটা কিন্তু ছিল না। তারপরও তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, এরপর সেই মেয়াদ আবার বাড়ানো হয়েছে। এ অভিযোগ সত্য হলে তার নিয়োগপত্রের তদন্ত হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, তার নিয়োগপত্রে লেখা হয়েছে, ভবিষ্যতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকালে পরীক্ষা ও নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এর মানে বোঝা যাচ্ছে দুই নম্বরি হয়েছে। এরপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। এ জন্যই আমরা তার নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগ অবৈধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়েছি।
তিনি বলেন, জন্মই যার অবৈধ হয়, পরে তার কর্মতে লুটপাট হবে, পানির দাম বাড়বে, ওয়াসার বাজে অবস্থা হবে, পানির মধ্যে ময়লা-আবর্জনা পাওয়া যাবে এটাই স্বাভাবিক। এ ধরনের অবৈধ দুর্নীতির মাধ্যমে যে নিয়োগ জনস্বার্থে সেটা বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, তার বেতন তো আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতির বেতনের থেকে বেশি। তিনি নাকি আমেরিকায় বসে অফিস করেন।
ভোরের আকাশ/নি