logo
আপডেট : ৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৭:৪৭
বুধবার কক্সবাজারে খুলছে সওজের ৩ প্রকল্পের দ্বার
এইচএম ফরিদুল আলম শাহীন, কক্সবাজার

বুধবার কক্সবাজারে খুলছে সওজের ৩ প্রকল্পের দ্বার

কক্সবাজারে সওজের প্রকল্পের একটি সড়ক যা বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন

এইচএম ফরিদুল আলম শাহীন, কক্সবাজার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বুধবার (৭ ডিসেম্বর) কক্সবাজার আসবেন। ওইদিন তিনি উখিয়ার ইনানীস্থ বঙ্গোপসাগরের পাড়ে দাঁড়িয়ে আন্তর্জাতিক নৌ মহড়ায় অংশগ্রহণ শেষে শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশাল জনসভায় ভাষণ প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সময় কক্সবাজার সড়ক বিভাগের তিনটি সড়কের উদ্বোধন করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহে আরেফীন।

 

তিনি জানান, সড়ক ৩টি হলো টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেলা মহাসড়কের হাড়িয়াখালী থেকে শাহপরীর দ্বীপ অংশ পুনর্নির্মাণ-প্রশস্তকরণ, কক্সবাজারের লিংক রোড থেকে লাবণী মোড় সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এবং রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্ততার উন্নীতকরণ প্রকল্প। এই সড়ক তিনটি নির্মাণে মোট ৪৬০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

 

হাড়িয়াখালী থেকে শাহপরীর দ্বীপ অংশ পুনর্নির্মাণ-প্রশস্তকরণ : সড়ক বিভাগের তথ্যমতে, দেশের সর্বদক্ষিণে টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ জেলা মহাসড়কটি অবস্থিত। সড়কটি ওই এলাকার জনসাধারণসহ মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পণ্য পরিবহনের প্রধান সড়ক। সরকার সড়কটিকে ৩.৭০ মিটার থেকে ৫.৫০ মিটারে উন্নীতকরণের প্রকল্পটি গ্রহণ করে। যেখানে ৫.১৫ কিলোমিটার সড়কাংশ, একটি সেতু ও ১২টি কালভার্ট রয়েছে। প্রকল্পটি সম্পাদনে ব্যয় হয়েছে ৫৯ কোটি টাকা।

 

লিংক রোড থেকে লাবণী মোড় সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ :
সড়ক বিভাগের তথ্যমতে, লিংক রোড-লাবণী মোড় সড়কটি পর্যটন নগরী কক্সবাজারের প্রবেশদ্বারে অবস্থিত। দেশি-বিদেশি লাখ লাখ পর্যটকের সমাগমে এই সড়কটি মুখরিত থাকে। সরকার পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে আধুনিকায়ন করণের লক্ষ্যে সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ৯.৬৪ কিলোমিটার। যার মধ্যে ২০টি কালভার্ট রয়েছে।

 

প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম সড়ক সার্কেলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন বলেন, প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হওয়ায় দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ ওই এলাকার জনসাধারণ সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে। সড়কের উভয় পাশের্^ সড়কবাতি স্থাপন করায় রাতের আলোতে ফুটপাত ধরে পর্যটকদের আনাগোনা এই নগরীর দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছে। প্রকল্পটি সম্পাদনে ব্যয় হয়েছে ২১৭ কোটি টাকা।

 

রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্ততার উন্নীতকরণ :
সড়ক বিভাগের তথ্যমতে, রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা জাতীয় দিয়ে ওই এলাকার বিশাল জনগোষ্ঠী যাতায়াত করে থাকেন। রামু সেনানিবাসের অবস্থানের কারণে সড়কটির সামরিক গুরুতপূর্ণ। সড়কটি চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি টেকনাফ গমনের একমাত্র মাধ্যম হওয়ার কারণে বর্তমান সরকার সড়কটিকে ৩.৭০ মিটার থেকে ১০.৩০ মিটারে উন্নীতকরণের প্রকল্প গ্রহণ করে। যার মধ্যে দুটি সেতু ও ১৪টি কালভার্ট আছে।

 

চট্টগ্রাম জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আতাউর রহমান বলেন, প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হওয়ায় টেকনাফ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পণ্যগুলো এবং সাময়িক আশ্রিত রোহিঙ্গাীদের বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ক্যাম্পগুলোতে পরিবহন সহজতর হয়েছে এবং সড়কের দূরত্ব ১২ কিলোমিটার হ্রাস পেয়েছে। প্রকল্পটি সম্পাদনে ব্যয় হয়েছে ১৮৪ কোটি টাকা।

 

ভোরের আকাশ/নি