logo
আপডেট : ৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৬:৫৬
ফুটেজ দেখে হামলাকারী শনাক্ত করছে পুলিশ
বিএনপি কার্যালয় ঘিরে শতাধিক সিসি ক্যামেরা
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি কার্যালয় ঘিরে শতাধিক সিসি ক্যামেরা

নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে ঘিরে শতাধিক সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছে পুলিশ। নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে পুলিশ হাসপাতাল পর্যন্ত ল্যাম্পপোষ্টগুলোতে চারটি করে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরা দিয়েই ডিএমপির সদরদপ্তর থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে।

 

পুলিশ বলছে, গত ৬ তারিখের পুলিশ বিএনপি সংঘর্ষেও ঘটনায় পূর্বে থেকে লাগানো সিসি ক্যামেরা দিয়ে পুলিশের ওপর হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নয়াপল্টন এলাকায় নাশকতার আশঙ্কায় আরো সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।

 

সরেজিমন দেখা গেছে, নয়াপল্টনের রাস্তায় ঢুকতে নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে চারপাশে নতুন করে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। আার এটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশ হাসপাতাল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রতিটি ল্যাম্পপোস্টের চারটি করে লাগানো সিসি ক্যামেরা। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনেও লাগানো হয়েছে এ ক্যামেরাগুলো। সবমিলিয়ে শতাধিকের ওপর লাগানো হয়েছে এ সকল ক্যামেরা।

 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থেই এ ক্যামেরাগুলো লাগানো হয়েছে। আমাদের নিকট তথ্য রয়েছে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় কেন্দ্রিক আরো নাশকতা হতে পারে। এমন তথ্যের কারণে অপরাধীদের চিহ্নিত করতেই পুলিশের পক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।

 

এদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকা থেকে গত মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে পুলিশের দিকে ঢিল ও ককটেল ছোড়ার সাথে জড়িত অনেককেই শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে আর কারা জড়িত জানতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

 

পুলিশ বলছে, আশেপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং আশপাশ থেকে আর কারা পুলিশের ওপর ঢিল এবং ককটেল ছুড়েছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া পুলিশকে শারীরিকভাবে কারা আঘাত করেছে, কারা হামলায় জড়িত- এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে অনেকের নাম পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই এসব বলা সম্ভব হচ্ছে না। তদন্তের পর দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

 

গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল এবং ককটেল বিস্ফোরণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আমরা অনেককে গ্রেফতার করেছি। পাশাপাশি ওই স্থানের সকল সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। অনেককেই সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেও চিহ্নিত করা হয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/আসা