logo
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৫:১৪
বগুড়ায় ২৮০ হেক্টর জমিতে শিম চাষ, বাম্পার ফলন
এনামুল হক রাঙ্গা, বগুড়া

বগুড়ায় ২৮০ হেক্টর জমিতে শিম চাষ, বাম্পার ফলন

বগুড়ার শেরপুরে শিমের ক্ষেতে কৃষক।

এনামুল হক রাঙ্গা, বগুড়া: বগুড়ার শেরপুরে শীতকালীন সবজি শিমের বাম্পার ফলনে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে কৃষকদের। ভালো দাম ও ফলন পেয়ে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। বগুড়ার শিমের রাজধানী খ্যাত শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ এবং খামারকান্দি ইউনিয়ন। আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাস শেষ মৌসুম হলেও চলতি বছর বৃষ্টির কারণে তা পিছিয়ে আশ্বিনে শুরু করতে হয়েছে।

 

এবার শুরু থেকেই শিমের বাজার ভালো। তবে বিভিন্ন পোকার আক্রমণ চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল চাষিদের কপালে। তারপরও দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একেক জন চাষি যেন নিজেরাই ফসলের ডাক্তার, শত রোগবালাইয়ের মাঝেও থেমে নেই শিম গাছের পরিচর্যা।

 

খামারকান্দি ইউনিয়নের পারভবানীপুর সুতারপাড়ার লাল মিয়া ভোরের আকাশকে বলেন, আমাদের একমাত্র সম্বল কৃষি জমি চাষ। সেই বাপ দাদার আমল থেকেই শিম চাষ করছি। সময়ের সঙ্গে শিম গাছের রোগবালাই ও বাড়ছে। রোগবালাই থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন কোম্পানি কিটনাশক বাজারে আনছেন। ফলে রোগের আক্রমণের ঠেকাতে প্রতি সপ্তাহে ২ বার ওষুধ দিতে হচ্ছে।

 

এতে খরচ বাড়ছে উৎপাদনও বাড়ছে। এখন পর্যন্ত গাছের চেহারা ও ফলন হওয়াতে এই মৌসুমে ৫০ শতক জমিতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ৯০ হাজার টাকায় বিক্রয় হবে। সেখান থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ হবে।
আল আমিন ও শরিফ ভোরের আকাশকে বলেন, আমরা ৪৮ শতক করে জমিতে শিম চাষ করছি। গাছ মাচায় উঠে ফুল আসতে ৪ মাস সময় লাগছে। এবার শীতের শুরুতেই বাজারে শিম বিক্রয় শুরু করেছি। প্রতিবারের চেয়ে এবার বেশি লাভবান হয়েছি। বর্তমানেও ৩৫টাকা কেজিতে শিম পাইকারি বিক্রয় করছি। এতে ৫মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভবান হবো।

 

শেরপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার ভোরের আকাশক বলেন, উপজেলায় এবার প্রায় ২৮০ হেক্টর জমিতে শিম চাষ হয়েছে। বিভিন্ন ফসল চাষে কৃষকদের নানা প্রতিক‚লতা মোকাবিলা করে ভালো ফসল বাজারে বিক্রয় করতে পারছেন। শিম চাষিদের পরামর্শ দিতে মাঠ ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

 

ভোরের আকাশ/নি