অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করে কোনক্রমে সংসার চলে আনারুল ইসলামের। রয়েছে ২০ ও ২৪ বছর বয়সি দুই ছেলে। ২ ছেলের মধ্যে ১ ছেলে আবার শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে কর্মক্ষমহীন। এরই মাঝে আনারুল-খাইরুন নেসা দম্পতির ঘর আলো করে একসঙ্গে ৩ কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে।
ফুটফুটে ৩ সন্তানের জন্ম দিয়ে পরিবারে আনন্দের আমেজের বিপরীতে তাদের লালন-পালন ও চিকিৎসায় অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে বিপাকে পড়েছেন এই পরিবার।
একসঙ্গে জন্ম নেয়া ৩ সন্তানের বাবা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে আনারুল ইসলাম। তার স্ত্রী মোসা. খাইরুন নেসা।
গত ৩ অক্টোবর রাতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে তিনি সন্তান প্রসব করেন। সন্তান মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় ও জন্মদানের পর বিপুল পরিমাণ অর্থ চিকিৎসা খরচ হওয়ায় ৩ শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে পরিবারটি। একদিকে দিনমজুর বাবার সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয়, অন্যদিকে একসঙ্গে ৩ সন্তানের জন্ম। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন আনারুল ইসলাম। বর্তমানে ৩ সন্তানকে নিয়ে তাদের মা খাইরুন নেসা স্বামীর বাড়িতেই রয়েছেন।
আনারুলের স্ত্রী খাইরুন নেসা বলেন, তিন মাস হয়েছে সন্তান জন্মদানের। জেলা হাসপাতালেরই নরমাল ডেলিভারি হওয়াতে কিছুটা সাশ্রয় হয়েছে। তা না হলে কি করতাম আল্লাহই ভালো জানেন।
আনারুল ইসলাম বলেন, আমার কোন জমিজমা নেই। অন্যের জমিতে কৃষিকাজ ও মাটি কাটার কাজ করে সংসার চালায়। এদিকে বড় এক ছেলে প্রতিবন্ধী। কাজ করতে পারে না। ঠিকমতো সংসারই চালাতে পারি না। এরমধ্যে আরও তিন কন্যা সন্তান হওয়ায় বিপদে পড়ে গেছি। তাদের জন্য ঠিকমতো খাবার ও চিকিৎসা-ওষুধের ব্যবস্থা করতে পারছি না।
সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ০৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. নুরুল ইসলাম জানান, পরিবারটি একেবারেই গরিব-অসহায়। আনারুলের কিছুই নাই বললেই চলে। হাতে খাটে পেটে খায়, এমন অবস্থা। ২ প্রতিবন্ধী ছেলের পর একসাথে ৩ মেয়ে হওয়া তার কাছে মরার উপর খাড়ার ঘা।
ভোরের আকাশ/নি