logo
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৬:১০
শস্যভাণ্ডারে শাকসবজিতেও সাফল্য
মাসউদ রানা, দিনাজপুর

 শস্যভাণ্ডারে শাকসবজিতেও সাফল্য

দিনাজপুরে একটি সবজির বাজার

মাসউদ রানা, দিনাজপুর: উত্তরের জেলা দিনাজপুরকে বলা হয় শস্যভাণ্ডার। খাদ্যশস্যের পাশাপাশি এ জেলায় ৬০০-৭০০ কোটি টাকার শাকসবজি উৎপাদন হয়। এ বছর জমিতে যে পরিমাণ শাকসবজি আবাদ হয়েছে, তাতে ৬৩৫ কোটি ৭৮ থেকে ৭৭০ কোটি ৫১ লাখ টাকার শাকসবজি বিক্রি করতে পারবেন কৃষক। এরই মধ্যে জেলার বাজারগুলোয় উঠেছে শাকসবজি। আগেভাগে শীতকালীন শাকসবজি বাজারে ওঠায় ভালো দাম পেয়েছেন তারা।

 

জেলার সবচেয়ে বড় শাকসবজির বাজার বাহাদুরবাজার এনএ মার্কেটে দেখা গেছে, শীতকালীন ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মুলা, গাজর, বরবটি, মিষ্টি আলু, পটল, বেগুন, কলসলা, লাউ, সবজি ও টমেটোয় বাজার ভরপুর। এ বাজারের কৃষকরা শাকসবজি পাইকারিতে বিক্রি করেন। এখান থেকে ব্যবসায়ীরা শাকসবজি পাইকারি ক্রয় করে জেলার বিভিন্ন এলাকা ও অন্যান্য জেলা শহরে খুচরা দামে বিক্রি করেন।

 

বর্তমানে এনএ মার্কেটে ফুলকপির কেজি ৩৫-৪০, বাঁধাকপি ২০-২৫, শিম ৪০-৪৫, বরবটি ৩৫-৪০, মুলা ১২-১৫, বেগুন ১৫-২০, গাজর ৮০-১০০, টমেটো ৯০-১০০, ঢ্যাঁড়শ ২২-২৫, মিষ্টিকুমড়া ২২-২৫, লাউ প্রতি পিস ২০-২৫, দেশি করলা ৫০-৬০, হাইব্রিড করলা ২০-৩০ ও শসা ৪০-৫০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লালশাক আঁটি ৫-৭, পালংশাকের আঁটি ১০-১২, মুলাশাকের আঁটি ৫-৭, পাতা, ডাঁটাশাকের আঁটি ৫-৭, নাপাশাকের আঁটি ১০-১২, সরিষাশাকের আঁটি ১০-১২ ও পুঁইশাকের কেজি ৮-১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র মতে, দিনাজপুরে এ বছর ২ হাজার ১৭২ হেক্টর জমিতে ফুলকপি, ২ হাজার ২১ হেক্টরে বাঁধাকপি, ৮৫০ হেক্টরে শিম, ১৯০ হেক্টরে বরবটি, ১০১০ হেক্টরে মুলা, ২ হাজার ৩৯২ হেক্টরে বেগুন, ২৩২ হেক্টরে গাজর, ২ হাজার ৪৫২ হেক্টরে টমেটো, ৮৬ হেক্টরে ঢ্যাঁড়শ, ৩৭৮ হেক্টরে করলা, ৯৭৪ হেক্টরে লাউ, ৩১০ হেক্টরে শসা, ৫০০ হেক্টরে লালশাক, ৩৮৮ হেক্টরে পালংশাক, ৩৮৮ হেক্টরে পুঁইশাক, ১৩০ হেক্টরে ডাঁটাশাক এবং ২০০ হেক্টর জমিতে নাপাশাক আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ জমিতে আবাদ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।

 

ভোরের আকাশ/আসা