সব বাধা-বিপত্তিকে পাশ কাটিয়ে অবশেষে বিশ্বকাপ ট্রফিতে চুমু খেলেন লিওনেল মেসি। নামের পাশে যোগ করলেন কিংবদন্তির খেতাব। এ লম্বা সফরে মেসিকে পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছেন তার স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জে। তাই তো আজন্ম স্বপ্ন বিশ্বকাপ জেতার পরে নিজের স্ত্রী-সন্তানদেরই সবার আগে পাশে ডাকলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এ তারকা। মাত্র ৫ বছর বয়সে আন্তোনেল্লার সঙ্গে মেসির পরিচয়। দীর্ঘদিনের সেই সম্পর্কের কথা সামনে আসে ২০০৮ সালে। এরপর ২০১৭ সালে তাকেই বিয়ে করেন মেসি। বিশ্বকাপজয়ী এ ফুটবলারের পাশে সুখে-দুঃখে সবসময় নিবিড় ছায়া হয়ে ছিলেন আন্তোনেল্লা। সে কারণেই তো স্বামীর এমন বিশ্বজয়ী অর্জন আবেগী করে তুলেছে আন্তোনেল্লাকে।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্তোনেল্লা লিখলেন, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। কীভাবে লিখতে শুরু করব বুঝতে পারছি না। মেসি তোমার জন্য আমরা গর্বিত। কখনো হাল ছাড়তে নেই, ধন্যবাদ এটা শেখানোর জন্য। শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে হয়। অবশেষে তুমি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলে। এত বছর ধরে তুমি কী কষ্ট পেয়েছ, সেটা আমি জানি। এটা পাওয়ার জন্য তুমি কী ভীষণ অপেক্ষা করছিলে জানি। এগিয়ে চলো আর্জেন্টিনা। শুরুর দিকে মেসি-আন্তোনেল্লার সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা-কল্পনা ছিল বেশ। সম্পর্কের কথা সামনে এলেও স্বীকার করেননি দুজনের কেউই। এক বছর পর স্বয়ং মেসিই তার বান্ধবীর কথা জানান এক সাক্ষাৎকারে। ২০১২ সালে তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। প্রথম সন্তান থিয়াগোর জন্মের তিন বছর পর দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেন আন্তোনেল্লা। ২০১৫ সালে জন্ম হয় মেসি এবং আন্তোনেলার দ্বিতীয় সন্তান মাতেয়োর। আরো তিন বছর পর তাদের তৃতীয় সন্তান সিরো পৃথিবীর আলো দেখে।
ভোরের আকাশ/আসা