logo
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:০৭
থার্টি ফাষ্ট নাইট: রাজধানীতে থাকবে ১৫ হাজার র‌্যাব-পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক

থার্টি ফাষ্ট নাইট: রাজধানীতে থাকবে ১৫ হাজার র‌্যাব-পুলিশ

থার্টি ফার্ষ্ট নাইটের নিরাপত্তায় রাজধানীতে ১০ হাজারের পুলিশের পাশাপাশি সাড়ে ৫ হাজার র‌্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে। প্রধান প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিতেও র‌্যাব পুলিশের উপস্থিতি থাকবে। নাশকতার সাথে সাথে উচ্ছৃঙ্খলা ঠেকাতে র‌্যাব পুলিশের এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলে মনে করছেন র‌্যাব পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা।

 

কর্মকর্তারা বলছেন, এবারের থার্টি ফার্ষ্ট নাইটে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নেয়া হচ্ছে। আজ শনিবার ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন।

 

ডিএমপি পুলিশের একটি সূত্র জানায়, থার্টি ফার্ষ্ট নাইটে এবারের রাজধানীতে ১০ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মাঠে থাকবে। এছাড়া উর্ধতন কর্মকর্তারাও মাঠে থেকে তাদের মনিটরিং করবেন। পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত সিসি ক্যামেরা দিয়ে কন্ট্রোল রুম থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

 

রাজধানীর স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে নাশকতা, উচ্ছৃঙ্খলা ঠেকাতে পুলিশ সকাল থেকে কাজ শুরু করবে। ডিপ্লোমেটিক এলাকা ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, ধানমন্ডি, উত্তরাসহ বেশ কিছু এলাকায় নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নেয়া হবে।

 

ডিএমপির নির্দেশনা : ঢাকা মহানগরের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার কিংবা রাস্তায় কোন ধরণের জমায়েত/সমাবেশ করা যাবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের রাত ৭ টার পূর্বে স্ব-স্ব বাসস্থানে প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। উপর্যুক্ত সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে নাগরিকদের কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যবৃন্দকে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

 

একইভাবে উপর্যুক্ত সময়ে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যে সকল নাগরিক বসবাস করেন না তাদেরকে উপর্যুক্ত এলাকায় গমনের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। যে কোন অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট নাগরিকদের কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সাহায্য গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হলো।

 

যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ : সোমবার সন্ধ্যা ৭ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় যানবাহনযোগে প্রবেশের জন্য শুধু কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) ব্যবহার করা যাবে।

 

গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা-ফিনিক্স রোড ক্রসিং, বনানী ১১নং রোড ক্রসিং, চেয়ারম্যান বাড়ি ক্রসিং, আমতলী ক্রসিং, শুটিং ক্লাব, বাড্ডা লিংক রোড, গ্রুপ-ফোর, ডিওএইচএস বারিধারা-ইউনাইটেড হাসপাতাল ক্রসিং ও নতুন বাজার ক্রসিং উক্ত এলাকাসমূহে প্রবেশের জন্য ব্যবহার করা যাবে না, তবে উক্ত এলাকা থেকে বের হওয়ার জন্য এসব ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে।

 

একইভাবে সন্ধ্যা ৭ টা হতে পরদিন ভোর ৫ টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা/কর্মচারী ব্যতিত অন্য যে কোন ব্যক্তি/যানবাহন কেবলমাত্র পুরানো হাইকোর্ট-দোয়েল চত্ত্বর-শহীদ মিনার- জগন্নাথ হলের দক্ষিণ গেট-পলাশীমোড় রুটটি ব্যবহার করতে পারবেন। উক্ত এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে অন্যান্য সকল ক্রসিং বন্ধ থাকবে।

 

ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে শনিবার সন্ধ্যা থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেঁস্তোরা, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সকল প্রকার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট নগরবাসীর প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ করা গেল। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ উপর্যুক্ত নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

 

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের উপ-কমিশনার ফারুক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ সবকিছু করবে। এয়াড়া সন্ধ্যা ৭ টার পর থেকেই যান চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রন আনা হবে। তিনি বলেন, এবারের থার্টি ফার্ষ্ট নাইটে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

 

এদিকে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। রাজধানীতে পুলিশের পাশাপাশি সাড়ে ৫ হাজার র‌্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে।

 

র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, পোশাকে ও সাদা পোশাকে র‌্যাবের অন্তত ৫ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে।

 

ভোরের আকাশ/আসা