৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছে দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আর তীব্র ঠান্ডায় নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েছে জনজীবন। হিম বাতাসের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির ফোঁটার মতো কুয়াশা ঝরছে।
সোমবার সকাল নয়টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে জেলার বিভিন্ন সড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
গত কয়েকদিনের টানা তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার সাধারণ মানুষ। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
শীত বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ। কনকনে শীতের কারণে কাজে যেতে পরছেন না। তবে জীবিকার তাগিদে কৃষি জমিতে, নদীতে পাথর তুলতে, আবার কাউকে চা-বাগানে কাজ করতে যেতে দেখা গেছে।
জমির আলী নামে এক অটো রিক্সা চালক বলেন, সকালে রিক্সা নিয়ে বের হয়েছি, কিন্তু রাস্তায় যাত্রী পাওয়া যায় না।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা এলাকার রমজান আলী বলেন, এবার প্রচুর ঠান্ডা শুরু হয়েছে। এই ঠান্ডার মধ্যেই সকালে কাজে যেতে হচ্ছে। কাজ না করলে খাবো কি?
অন্যদিকে, বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।
তেঁতুলিয়ায় থেকে চিকিৎসা নিতে আসা আরফিনা নামের এক শিশুর মা জানান, ঠান্ডার কারণে তার মেয়ের সর্দি-কাঁশি ও শ্বাসকষ্ট এজন্য তিনি তার মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, গত কদিন থেকে তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা উঠানামা করছে। সোমবার সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভোরের আকাশ/নি