অজয় ঘোষ, রাজশাহী: ছোট্ট এক রেস্তোরা, সুন্দর ও পরিপাটি সাজ-সজ্জায় রুচির ছাঁপ। একপাশে রয়েছে মাটির দেওয়াল অন্য দেওয়াল ও ছাদ জুড়ে আলপনা ধাচে নকশা আঁকা। বলছিলাম দৃষ্টি নন্দন ও নান্দনিক ‘টারওফ’ রেস্তোরাটির কথা। টারওফ তুরকি শব্দটির বাংলা অর্থ আমন্ত্রণ, টারওফ নামের রেস্তোরাটি জানাচ্ছে মসলাদার তুরকি চা আর নাস্তার আমন্ত্রণ।
রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে টারওফ নামের এই রেস্তোরাটির অবস্থান। উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া দুই বন্ধু মালিহা আহমেদ ও মাহির আসিফ অক্ষর বইচিত্র পূর্ণ মুখরোচক খাবার পরিবেশনের ভাবনা থেকে টারওফ নামক রেস্তোরাটি তৈরি করেন।
নান্দনিক এই রেস্তোরাটি দৃষ্টি আর্কষণ করেছে রাজশাহী নগরবাসীর। টারওফ রেস্তোরার প্রধান আকর্ষণ ঘণ দুধ, পেস্তা বাদাম ও মসলা মেশানো তুর্কি চা এবং কফি। এই বিশেষ তুর্কি চা তৈরি হয় বালুর তাপে। সমচা, সিঙ্গারাও মেলে এই রেস্তোরায়। পাশাপাশি পরিবেশনের ধরনটাও নান্দনিক। কাঠের নকশা দেওয়া চৌকো বাক্সে আশে তুর্কি চা।
টারওফে চা খেতে আসা শিক্ষার্থী সামিউল আলম জানান, এই নতুন একটা উদ্দ্যেগ নিয়েছে এনারা নতুন এক ধরনের একটা চা তাই আমরা ট্রাই করার জন্য এসেছি। চা খেতে অনেক সুন্দর লাগলো। পরবর্তী সময়ে বন্ধুদের নিয়ে এখানেই আসবো।
শিক্ষার্থী ফারিহা আহমেদ জানান, ফেসবুকে একটি পোস্ট দেখেছি এই রেস্তোরায় নতুন ধরনের চা পাওয়া যায়। পাশাপাশি আমার কয়েকটা বন্ধু এখানে এসেছিলো ওরা বললো যে ট্রাই করে দেখা যায়। এখানকার যে পরিবেশ ও ম্যানেজমেন্ট তাদের যে কোয়ালিটি সব মিলে আমি ও আমরা সবাই খুব অভিভুত।
উদ্দ্যেগতা মাহির আসিফ অক্ষর জানান, আমরা জিনিস গুলো ইউটিউব থেকে দেখছি এখান থেকে আগ্রহটা শুরু হয় যে নতুন কিছু করা যায়কি রাজশাহীতে। এভাবেই তুর্কি চা আমারা বেছে নিই যে এটা নতুন জিনিস আর চা তো মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিদিনি সবাই চা খাবেই তাই এই কারণে চা নিয়ে নতুন কিছু করা।
উদ্যোক্তা মালিহা আহমেদ জানান, আপনাদের দোয়া থাকলে এটাকে আরও বড় করার ইচ্ছা আমাদের আছে। আপনাদের ভালোবাসা আল্লাহ্র রমহত আছে সবকিছু মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালোই চলেছে। ইনস্আল্লাহ এটাকে আমরা আরও বড় পরিসরে গড়বো।
বিকেল চারটায় খোলা হয় টারওফ এর দরজা এবং রাত্রি এগারোটা পর্যন্ত খোলা থাকে টারওফ। সন্ধার সময় তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতিতে সর্বদাই সরগরম থাকে টারওফ।
ভোরের আকাশ/নি