এনটিআরসির চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে এমপিওভুক্ত ইনডেক্সধারী ৬৬ জন শিক্ষককে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদন করার সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ নির্দেশ দিয়েছেন। মফিজুর রহমান, পপি আক্তার, আব্দুল বারেক, সোহেল রানা, নেয়ামত শেখসহ ৬৬ জন ইনডেক্সধারী শিক্ষকের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ মাহমুদ বাশার।
ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় “বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে অনসরনীয় পদ্ধতি” বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করেন, ওই পরিপত্রের ৭.০. নং ক্রমিকে উল্লেখ আছে যে, “কর্মরত কোন শিক্ষক যদি অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেতে আবেদন করেন তবে তাকেও অপরাপর আবেদনকারীদের একইরূপ মেধাক্রমের ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হবে।” আর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান(মাদ্রাসা)জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সংশোধিত)-এর ধারা ১২ এবং বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সংশোধিত)-এর ধারা ২৩.১ এ উল্লেখ্য আছে যে, “এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে সমপদে বা উচ্চতর পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবে। পূর্বের প্রতিষ্ঠান হতে ছাড়পত্র ও দায়মুক্তি প্রাপ্তি সাপেক্ষে নতুন প্রতিষ্ঠানে এমপিও প্রাপ্য হবে” অর্থাৎ কর্মরত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের অন্য প্রতিষ্ঠানে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদন করার সুযোগ আছে। কিন্তু গত ১৪ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অপর একটি পরিপত্রে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর পরিপত্রের ৭.০. নং ক্রমিক সাময়িকভাবে স্থগিত করে এবং পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর এনটিআরসির ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যার ১২ নম্বর শর্তে ১৪ নভেম্বরের পরিপত্রের বিষয় উল্লেখ করে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের অন্য প্রতিষ্ঠানে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদন করার সুযোগ বাতিল করা হয়।
ওই ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১৪ নভেম্বর পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা রিট আবেদন করেন। এ রিট আবেদনে গত ১৬ জানুয়ারি প্রাথমিক শুনানী শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে এনটিআরসির ২০২২ সালের ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তির ১২নম্বর শর্ত এবং ১৪ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ) পরিপত্র অনুযায়ী রীটকারীদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ বাতিল করা কেন অবৈধ হবেনা এবং জনবল কাঠামো নীতিমালা অনুযায়ী রিট আবেদনকারীদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি এ আবেদন করার সুযোগ প্রদান করা হবেনা তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রিট আবেদনকারীদের নতুন আবেদনে এ নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ভোরের আকাশ/আসা