রাজধানীর মগবাজারের বিস্ফোরিত এলাকা পরিদর্শন শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশের সিটিটিসি ইউনিটপ্রধান আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, বিস্ফোরিত প্লাস্টিক ড্রামে আগে থেকে ‘বিস্ফোরক দ্রব্য’ রাখা ছিল। ড্রাম থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য ফেলে দেয়ার সময় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। তবে কে বা কারা এ বিস্ফোরক রেখেছে তা এখনো জানা যায়নি।
মঙ্গলবার ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, বিস্ফোরণে চারজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজন পথচারী। ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে আমাদের বোম ডিসপোজাল টিম যায় এবং আলামত সংগ্রহ করে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, আগে থেকেই ড্রামের ভেতরে যে কেউ বিস্ফোরকটি রেখে দিয়েছিল। অসাবধানতাবশত ফেলে দেয়ার কারণে বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরকটি কে রেখেছিল বা কীভাবে এখানে এসেছে সেটি উদ্ঘাটনের জন্য কাজ করছি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এটা কী ধরনের বিস্ফোরণ ছিল, দেশি ককটেল নাকি অন্য কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য তা জানার জন্য আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করছে। বিস্ফোরণের বিষয়ে সিটিটিসির সন্দেহের বিষয়ে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে কোনো কিছু সন্দেহ করছি না। ধারণা করছি কেউ হয়তো বিস্ফোরকটি রেখে গেছে। তবে মোটিভ জানতে পারলে আমরা এটি বের করতে পারব।’
এই বিস্ফোরণের সঙ্গে কোনো জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা জানতে চাইলে সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘আমরা এমন কোনো বিষয়ে সন্দেহ করছি না। তবে প্রাথমিকভাবে সব বিষয় সামনে রেখে আমরা কাজ করছি।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিস্ফোরণটি বড় বিস্ফোরণই ছিল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও বিস্ফোরণের আঘাতের চিহ্ন দেখে আমরা ধারণা করতে পারছি।’
এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে বড় মগবাজারের ওয়্যারলেস মোড়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে বেশকয়েকজন আহত হন। ছয়তলা ভবনের নিচে যেখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে দুটি স্কুল রয়েছে। এর মধ্যে একটি সেন্ট ম্যারিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, অন্যটি রমনা কিডস কিন্ডারগার্টেন স্কুল। তার পাশেই মেট্রো ডিপার্টমেন্ট স্টোর। স্কুলের নিচে একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। বিস্ফোরণের শব্দে স্কুলের জানালার কাচ ভেঙে পড়েছে এবং তা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
দুই স্কুলে শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। বিস্ফোরণের সময় স্কুলগুলো চালু ছিল। পরে বন্ধ করে দেয়া হয়।
ভোরের আকাশ/আসা