প্রকৃতিতে মাঘ মাসের মাঝামাঝি শীতের প্রকোপ কমে গিয়ে জানান দিচ্ছে বসন্তের আগমনী বার্তা। কুমিল্লার দক্ষিণাঞ্চলের লাকসাম, বরুড়া, লালমাই, নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে আমের মুকুলে ছেঁয়ে গেছে আমের গাছ। থোকা থোকা মুকুলের ভারে ঝুলে পড়েছে আমগাছের ডালপালা। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে বসন্তের নান্দনিক সাজে সেজেছে যেন আমগাছগুলো।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, এ দিকে বসন্তের সোনালি হলুদ রঙের আমের মুকুলের মনকাড়া সুগন্ধ, মৌমাছিরা দলে দলে ঘুরে বেড়াচ্ছে গুন গুন শব্দে মুকুলের ওপর। ছোট ছোট পোকামাকড় ও পাখিরাও মুকুলে বসে মনের আনন্দে স্বাদ নিচ্ছে। এমন দৃশ্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে আমের গাছে গাছে। এ যেন এক অপরূপ প্রকৃতি।
এ ছাড়া শহর এলাকা ছাড়াও জেলা দক্ষিণাঞ্চলের পাঁচটি উপজেলার গ্রামাঞ্চলের গাছে গাছে মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে আম গাছ। গাছগুলোতে মুকুলের সঙ্গে গুটি গুটি আমের দেখাও মিলছে। রাতের ঘন কুয়াশা আর শিলা বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেলে এ বছর আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাক নাশক ওষুধ প্রয়োগসহ গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন আমগাছ মালিকদের কেউ কেউ।
অপরদিকে জেলার দক্ষিণাঞ্চলের একাধিক আমের গাছের মালিক জানান, এ অঞ্চলের অধিকাংশ গাছেই ইতিমধ্যে মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে। এবার ঘন কুয়াশা পড়ছে তবে এখনো শিলা বৃষ্টি না হওয়ায় গাছে গাছে মুকুলে ভরে উঠেছে এবং আগামী দিনগুলো প্রকৃতির উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে। প্রাকৃতিক কারণে এবার অতীত সময়ের চেয়ে আগেভাগেই আম গাছে মুকুল এসেছে। গাছে গাছে অজ¯্র মুকুল দেখে এবার বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে। সর্বত্রই আমগাছগুলো তার মুকুল নিয়ে হলদে রং ধারণ করে সেজেছে যেন এক অপরূপ সাজে।
এ ব্যাপারে জেলা-উপজেলা কৃষি বিভাগ ও স্থানীয় পরিবেশবিদদের একাধিক সূত্র জানায়, আম গাছে মুকুল আসার আগে কিংবা পরে যেমন আবহাওয়ার প্রয়োজন এ বছর কিন্তু এখনো তা বিরাজ করছে। মুকুলের এ সময় প্রধান শত্রু কুয়াশা আর শিলা বৃষ্টি।
এবার জেলা দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক লাখ আম গাছে মুকুল ধরেছে। তবে বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুক‚লে থাকলে চলমান বছরে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।