নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ এরফান সেলিমের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার অ্যাডিশনার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূরের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন মামলাটি চার্জশুনানির জন্য ধার্য ছিল। এরফান সেলিম অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য তার পক্ষে সময় আবেদন করা হয়। এ ছাড়া তার আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় চার্জশুনানি পেছানোর আবেদন করেন।
আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে এরফান সেলিমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সাথে এরফান সেলিমসহ ৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। আগামী ৬ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
বিচার শুরু হওয়া অপর ৪ আসামি হলেন- এরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মিজানুর রহমান, মদিনা গ্রæপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দীপু ও সহযোগী কাজী রিপন। এদের মধ্যে জাহিদুল বর্তমানে কারাগারে আছেন। মিজানুর ও দীপু জামিনে আছেন এবং কাজী রিপন পলাতক।
আদালত অভিযোগ পড়ে শোনালে জাহিদুল, মিজানুর ও দীপু নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এরফান সেলিম ও রিপন আদালতে উপস্থিত না থাকায় নিজেদের নির্দোষ দাবি করতে পারেননি। এরফান সেলিমের আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ এসব তথ্য জানান।
জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন।
তখন গাড়ি থেকে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে এরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।
২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মমিনুল হক ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
ভোরের আকাশ/নি