গত ৫ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের চরভদ্রাসন এলাকায় পদ্মা নদীতে স্পিড বোট সংঘর্ষে নিহত পাঁচজনের প্রত্যেকের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নৌ-পরিবহন সচিব, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা ও ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক, চরভদ্রাসন ও দোহার উপজেলার নির্বাহী অফিসার বরাবর ইমেইল ও ডাক যোগে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওসার বৃহস্পতিবার এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে নদী পারাপার হওয়া যাত্রীদের বীমার আওতায় আনা এবং সংঘটিত দুর্ঘটনা তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে।
ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব জানান, হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন গোপালপুর ঘাট এবং মৈনট ঘাট দিয়ে পদ্মা নদী পারাপার হন। এ ঘাটগুলো উপজেলা প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় দুই ঘাট থেকে যাত্রী বোঝাই করে গন্তব্যে রওয়ানা হলে দুটি স্পিড বোটের মুখোমুখি সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়, স্পিড বোটগুলোর উপর নোটিশ গ্রহীতাদের নিয়ন্ত্রণ থাকার পরও কর্তৃপক্ষ সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারার কারণেই এতগুলো প্রাণ অকালে ঝরে গেছে। সংশ্লিষ্টরা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলায় পাঁচজনের মৃত্যুসহ অসংখ্য মানুষ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছেন, যাদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
নোটিশে আরো বলা হয়, দেশের সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জীবনের অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। ফলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ -এর সরাসরি লঙ্ঘন করেছেন।
ভোরের আকাশ/আসা