বাউফল পৌরসভা চত্বর থানার পেছনে গালর্স স্কুল বাজার রোডে ডান-বাম পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তপ। এলাকাজুড়ে বাতাসের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, সরু রাস্তায় দু’পাশে প্রায় ৮ শতাংশ জায়গাজুড়ে ময়লা-আবর্জনা।
পৌরসভা এলাকা সব ময়লা-আবর্জনা এ জায়গায় ফেলে রাখা হয়। দুর্গন্ধ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে থাকে। পথযাত্রী নাক ঢেকে হেঁটে চলতে হয়।
প্রতিদিন এ ময়লা-আবর্জনার মধ্যে জীবিকার খুঁজে থাকে মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ময়লা-আবর্জনার মধ্যে পুরোনো লোহা ডামিশ প্লাস্টিকের খুঁজে থাকে। খুঁজে পাওয়া প্রতি কেজি ১৫ থেকে ২০ টাকা ভাঙাড়ির দোকানে বিক্রি করে ৮০ থেকে ১০০ টাকা উপার্জন করেন। এ টাকায় ২ সন্তানসহ স্ত্রী নিয়ে সংসার চলে তার।
আলাপচারিতায় ইদ্রিস আলী ভোরের আকাশকে জানান, তার বাড়ি উপজেলা সদরের পাশে নাজিরপুর গ্রামে। ময়লা-আবর্জনা ছানতে তার ভয় নেই। এটার মধ্যে লুকিয়ে আছে তার প্রতিদিনের আয়-রোজগারের টাকা। সরকার বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিডি ভিজিএফ দিলেও তার ভাগ্যে জোটেনি।
চেয়ারম্যান মেম্বারদের সঙ্গে যাদের সখ্য আছে তারাই বারবার চাল-ডাল-তেল-টাকা পেয়ে থাকে। হাতে ময়লার পলিথিন, মুখে ক্ষোভের কণ্ঠস্বর, আমি গরিব, ময়লা ছানি, আমাকে চোঁখে দেখছে না জনপ্রতিনিধিরা।
বাউফল পৌরসভা পরিচ্ছন্ন কর্মী জানান, আমরা ময়লা রাখার পরে ইদ্রিস ভাই এগুলো খুঁজিয়ে পুরোনো লোহা ডামিশ প্লাস্টিক নিয়ে থাকে। দেখছি প্রতিদিন এভাবে টোকাইয়া থাকে। তার কোনো অসুখ-বিসুখে দেখছি না।
পরিচ্ছন্ন কর্মী আক্ষেপ করে বলেন, দ্যাখেন ভাই আল্লার কি লীলা-খেলা, বড় লোক বাসি খাবার খায় না। কারণ বাসি খাবার খাইলে তার নাকি ঝোলা হইব। অথচ আমরা গরিব মানুষ, বড় লোকের ডাস্টবিনে ফেলে রাখা খাবার তুলে নিয়ে খাই অথচ আমাদের ঝোলা হয় হয় না। হইব বড় লোকের।
ভোরের আকাশ/নি