গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরামা ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসায় শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। তবে পিছিয়ে নেই পড়াশোনার মান। শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় জিপিএ ফাইভসহ শতভাগ পাস করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।
১৯৮১ সালের পহেলা জানুয়ারিতে মো. আব্দুস সালাম বেপারীর হাত ধরে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

সূচনালগ্ন থেকে এ যাবতকাল পর্যন্ত এ বছরই আলিম পরীক্ষায় শতভাগ পাসের গৌরব অর্জনসহ ৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে, যা উপজেলার সব মাদরাসাগুলোর মধ্যে সাফল্যের দিক দিয়ে সেরা।

বাংলাদেশে বরাবরই মাদরাসা শিক্ষাকে অবহেলার দৃষ্টিতে দেখা হয়। তবুও মাদরাসা শিক্ষার্থীরা সব বাঁধা ডিঙিয়ে রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে পৌঁছে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে। গত বছরের মার্চের ৫ তারিখ থেকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরামা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছেন আবুল কালাম আজাদ।

তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকালে নিজ উদ্যোগে এই প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থারও দারুণ পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। মাদরাসাটিতে শিক্ষা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন আসলেও বাকি রয়ে গেছে অবকাঠামোগত অনেক কাজ। তাই, নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এখানকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

এসব বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল কালাম বলেন, ২০১৭ সালে পরিকল্পিতভাবে ৪ তলা ভিত বিশিষ্ট ১ তলা ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়, যা ২০২০ সালে তিনটি কক্ষ নির্মাণ করেই কাজের ইতি টানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে চরমভাবে শ্রেণিকক্ষ সংকটে ভুগছে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

আমি গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ এমপিসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সব শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে ইনশাআল্লাহ।

মাদরাসা কমিটির সভাপতি এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মামুনূল করিম এসব সংকট প্রসঙ্গে বলেন, শিক্ষাবিদ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও হস্তক্ষেপে অবকাঠামোসহ অন্যান্য সমস্যাগুলোর সমাধান মিলবে। তবে আমি আন্তরিকভাবে সভাপতি হিসেবে আমার যা দায়িত্ব রয়েছে তা পালন করব।

ভোরের আকাশ/নি