logo
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১০:৩৪
শ্রমিক আন্দোলনে কমেছে চা-পাতার উৎপাদন
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

শ্রমিক আন্দোলনে কমেছে চা-পাতার উৎপাদন

হবিগঞ্জে বৈরী আবহাওয়া ও শ্রমিক আন্দোলন প্রভাব পড়েছে চা বাগানে। শুধু তাই নয়, কিছু অসাধু লোক চা বাগানের বিভিন্ন ছড়া থেকে বালু উত্তোলন করায় কমেছে চা-পাতার উৎপাদন। এনিয়ে বাগান কর্তৃপক্ষ দুশ্চিন্তায় রয়েছে।

 

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ, বাহুবল, চুনারুঘাট, মাধবপুর উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার ৭০৩.২৪ হেক্টর জমিতে ২৫টি ফ্যাক্টরিযুক্ত চা বাগান রয়েছে। এছাড়া ফাঁড়িসহ প্রায় ৪১টি বাগানের প্রায় প্রতি হেক্টর জমিতে ২২০০-২৫০০ কেজি চা-পাতা উৎপাদন হয়ে আসছে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চুনারুঘাট উপজেলার পাহাড়ি এলাকার লস্করপুর ভ্যালি। এ ভ্যালির বাগানগুলোতে বৈরী আবহাওয়া ও শ্রমিক আন্দোলনের কারণে চা-পাতার উৎপাদন ৩০ লাখ কেজি কমে গেছে। ২০২২ সালে এ ভ্যালির ২৪টি বাগানে ১ কোটি ১ লাখ ৬৬ হাজার ৭৭ কেজি চা-পাতা উৎপাদন হয়েছে।

 

২০২১ সালে এ বাগানে চা-পাতা উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ৩২ লাখ ৫১১ কেজি। সে হিসাবে এ বছর ৩০ লাখ ৩৫ হাজার কেজি বা ২২.৯৯ শতাংশ উৎপাদন কমেছে। ২০২২ সালের শুরুর দিকে বাগানগুলো খরার কবলে পড়ে ও আগস্ট মাসে ছিল ২০ দিনের শ্রমিক অবরোধ।

 

এছাড়া চায়ের গাছে আক্রমণ করে ‘রেড স্পাইডার’ ও ‘হেলোফিলিটস মশা’। এসব কারণে উৎপাদন কমে গেছে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাসে বাগানে ৬০ শতাংশ চা-পাতা উৎপাদন হয়। কিন্তু এ সময়ের ভেতরে শ্রকিরা ২০ দিন কাজ না করায় ২০ শতাংশ চা-পাতার উৎপাদন কমে যায়।

 

অন্যদিকে খরা, রেড স্পাইডার ও হেলোফিলিটস মশার আক্রমণ এবং খরচ বাড়লেও নিলামে বাড়েনি চায়ের দাম। এসব কারণে গত বছর ২৪টি বাগানে ২২.৯৯ শতাংশ উৎপাদন কমে গেছে।

 

চুনারুঘাটের ন্যায় নবীগঞ্জ, বাহুবল, মাধবপুর উপজেলার চা বাগানগুলোয়ও বৈরী আবহাওয়া ও শ্রমিক আন্দোলনের কারণে চা-পাতার উৎপাদন কম হয়েছে। চুনারুঘাটের চন্ডিছড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক ও লস্করপুর ভ্যালির সভাপতি ইউসুফ হোসেন খান জানান, গত বছর শ্রমিক অবরোধের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বৈরী আবহাওয়া ও নানা রোগের আক্রমণের ফলে চা-শিল্প এখন খারাপ সময় অতিবাহিত করছে।

 

ভোরের আকাশ/নি