চলতি শীত মৌসুমে গত ৭ বছরের মধ্যে শীতজনিত রোগে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শীতকালীন ঠান্ডাজনিত রোগে ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর থেকে চলতি বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে ১০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন্সে (এআরআই) ১০৬ ও ডায়রিয়ায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস বিভাগের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের শীতজনিত রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর ১৪ নভেম্বর থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিবরণে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ১৪ নভেম্বর থেকে চলতি বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে ৮৪ হাজার ৬০৯ জন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণজনিত রোগে আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে ১০৬ জন মৃত্যু হয়। এছাড়া শীতকালীন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন চার লাখ ৫ হাজার ৩৩১ জন, মারা গেছেন তিনজন। এছাড়া এআরআই ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৮৩ জন। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৪৯৬ জন বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্যানুযায়ী, ২০১৯-২০ মৌসুমে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৪৯ হাজার ১১৩ জন আর মারা যান ২৮ জন। এভাবে ২০১৫-১৬ সালের শীত মৌসুমে শ^াসতন্ত্রের সংক্রমণ, ডায়রিয়া, জন্ডিস, আমাশয়, চোখের প্রদাহ, চর্মরোগ ও জ্বরের মতো শীতজনিত অসুখে আক্রান্ত হন ১ লাখ ৭ হাজার ৩৬৯ জন আর মারা যান ৩৫ জন। পরের মৌসুমে (২০১৬-১৭) আক্রান্ত হন ৬১ হাজার ৫৬৪ জন ও মারা যান ১১ জন, ২০১৭-১৮ সালে আক্রান্ত হন ১ লাখ ৪ হাজার ৬৭ জন, এদের মধ্যে মৃত্যু হয় ২০ জনের। গত ২০১৮-১৯ মৌসুমে আক্রান্ত হন ৮৬ হাজার ৭৫৯ জন আর মারা যান ১১ জন।
ভোরের আকাশ/আসা