প্রতারণা করে মালামাল হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাইদুর রহমান হাওলাদার এবং মো. মোর্শেদ (৫০) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল রাতে মোহাম্মদপুর থানার বসিলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
নগরে তারা 'কাইজ্যা পার্টি' নামেই পরিচিত। তারা রিকশা নিয়ে ঘোরেন। এরপর তাদের কয়েকজন যাত্রীর সাথে ইচ্ছাকৃতভাবে ঝগড়া করেন। ওই সুযোগে আরেকজন রিকশায় থাকা মালামাল নিয়ে পালিয়ে যান। সাইদুর এই গ্রুপের প্রধান। তাদের কাছ থেকে লুট করা চার লক্ষাধিক টাকার মেডিকেল মেশিন এবং দুই লক্ষাধিক টাকার কসমেটিকস সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি মিরপুর ১০ থেকে ভিকটিম মহিউদ্দিন দুইটি মেডিকেল মেশিন নিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার অপেক্ষা করছিলেন। এসময় রিকশা নিয়ে হাজির হন সাইদুর। শেওড়াপাড়া আসার জন্য রিকশায় উঠে কিছু দূর যাওয়ার পর রিকশা নষ্ট হয়েছে উল্লেখ করে কিছুদূর হাঁটতে বলেন মহিউদ্দিনকে। কিছুদূর যেতেই সেখানে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা ২/৩ জন তার সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে ঝগড়া লাগিয়ে দেন। এই সুযোগে মালামালসহ রিকশা নিয়ে পালিয়ে যান সাইদুর। পরে থানায় অভিযোগ করলে গতকাল রাতে জড়িত দুইজনকে মোহাম্মদপুর থানার বসিলা এলাকা গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক কেরানিগঞ্জের শহীদনগর এলাকা মেডিকেল যন্ত্রাংশ এবং কসমেটিকস সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসীন জানান, তাদের গ্রুপে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ৭ থেকে ৮ জন সদস্য রয়েছে। তারা কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে এই কাজ করেন। তাদের মধ্যে এক দল থাকেন হাঁটাওয়ালা। তারা সেই যাত্রীর সাথে ইচ্ছাকৃতভাবে ঝগড়া লাগান। একজন মাদলিওয়ালা। তিনি রিকশা চালান, রিকশা নিয়ে পালিয়ে যান। সাইদুর এই দলের মাদলিওয়ালা। আরেক দল পল্টিওয়ালা। যখন ওই যাত্রী ওই রিকশা খুঁজতে থাকেন তখন এই দল উল্টো রাস্তা দেখিয়ে দেন। মালামাল হাতিয়ে দেওয়ার পর সেই টাকার ৭০ শতাংশ সবাই সমানভাগে নেন। অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পান মাদলিওয়ালা এবং ১০ শতাংশ পান হাঁটাওয়ালা।
তারা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে এই প্রতারণা করেন। প্রায় দুই বছর ধরে তারা এই কাজ করছেন। গ্রেপ্তারের পর তাদের কাছ থেকে চার লক্ষাধিক টাকা মূল্যমানের মেডিকেল মেশিন এবং দুই লক্ষাধিক টাকার কসমেটিকস সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ভোরের আকাশ/আসা