logo
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৩:৫৮
সোনারগাঁয়ে পর্যটন কেন্দ্র উদ্বোধন
রিপন রেজা, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

সোনারগাঁয়ে পর্যটন কেন্দ্র উদ্বোধন

রিপন রেজা, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ): বাংলাদেশের প্রাচীন রাজধানী নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য গড়ে উঠেছে আধুনিক দৃষ্টিনন্দন ও মনজুড়ানো চিরসুন্দর মনোরম পরিবেশে সেনতোছা পর্যটন কেন্দ্র। শনিবার এই সেনতোছা পর্যটন কেন্দ্র শুভ উদ্বোধন করেন মেজর মো. মতিউর রহমান।

 

পর্যটন কেন্দ্রে আরো উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূইয়া, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী অ্যাডভোকেট নুরজাহান বেগম, পিরোজপুর ইউনিয়নের সম্মানিত চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান (মাসুম), এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

 

সোনারগাঁ উপজেলা পিরোজপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কান্দারগাঁও গ্রামে সুবিশাল জায়গায় গড়ে তুলেছেন ব্যবসায়ী জাকির হোসেন। তার এই অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে উঠেছে সুন্দর এই লীলাভূমির মাঝে অপরূপ সেনতোছা পর্যটন কেন্দ্রটি। যা প্রতিটি প্রকৃতিপ্রেমিক মানুষের মন কেড়ে নিয়েছে। প্রকৃতিপ্রেমিক মানুষকে বিনোদন দেয়ার জন্য এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন তিনি।

 

সেনতোছা পর্যটন কেন্দ্রের মালিক জাকির হোসেন বলেন, একবার যে এখানে আসবে সেই মানুষটি প্রকৃতির প্রেমে পড়ে যাবে। পর্যটন কেন্দ্রের বাইরের চারপাশে রয়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে বিশাল গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা। ভেতরে রয়েছে দেশি-বিদেশি ফুল ও ফলের বাগান যা পর্যটন কেন্দ্রকে করেছে ছায়াঘেরা ও সুন্দর মনোরম পরিবেশ। গাছের ছায়ার নিচে রয়েছে বসার সুব্যবস্থা।

 

পর্যটন কেন্দ্রের ভেতরে রয়েছে রেস্টুরেন্ট, কফিশপ, মুদি দোকান, খেলনার দোকান আরো অনেক কিছু কিনতে পাওয়া যায়। রয়েছে নামাজের ব্যবস্থা। পর্যটন কেন্দ্রের ভেতরে রয়েছে অনেক ছোট ছোট কটেজ। বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রাইটস। আরো রয়েছে হরিণ, বানর, জিরাফ, সাদা পরী, হাতীসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর ভাস্কর্য।

 

পর্যটন কেন্দ্রের এক পাশে রয়েছে সুবিশাল পুকুর, পুকুরে রয়েছে সানগাট। সেখান থেকে নৌকায় চড়ার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন পরিবার নিয়ে সবাই। পিকনিক স্পটের জন্য রয়েছে আলাদা জোন। স্কুল-কলেজ বা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য পিকনিক করতে আসলে রয়েছে বিশেষ ছাড়। ৩০ থেকে ৪০ ফুট উঁচু শক্ত কাঠ এবং বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ঘর।

 

এই খোলামেলা ঘরের উপরে উঠে দেখতে পারবেন বিশাল কাশবন, মেঘনা নদীর ঢেউয়ের বাতাস। কাশবনে দোল খেলে মনে হবে যেন সাদা পরীরা নাচছে। এরপর দেখবেন সূর্যাস্ত। পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে সিসিক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত কঠিন আইনি নিরাপত্তার ব্যবস্থা যা আপনি থাকবেন সব সময় সুরক্ষিত। একবার হলেও ঘুরে এসে মনটাকে উৎফুল্ল করে যেতে পারেন ভ্রমণপিপাসুরা।

 

ভোরের আকাশ/নি