logo
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৬:২৭
নেত্রকোনায় তদবির ছাড়াই পুলিশে চাকরি পেলেন ৮৬ জন
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনায় তদবির ছাড়াই পুলিশে চাকরি পেলেন ৮৬ জন

নেত্রকোনায় পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা

‘চাকরি নয়, সেবা’ এই স্লোগানে নেত্রকোনা জেলায় শূন্য পদের বিপরীতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে কোনো ঘুষ অথবা তদবির ছাড়াই বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ৮৬ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

 

নেত্রকোনা জেলার নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি জেলা পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ নেত্রকোনা পুলিশ লাইন্স মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে টিআরসি নিয়োগ কার্যক্রমের সব ইভেন্টে কৃতকার্য প্রার্থীদের লিখিত, মনস্তাত্তিক ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নাম ও ফল ঘোষণা করেন।

 

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি। এ সময় নতুনদের ফুল এবং ক্রেস্ট দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়।

 

জেলা পুলিশ সুপার তার বক্তব্যে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানিয়ে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দেশসেবার মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কাজ করার আহব্বান জানান।

 

নিয়োগ বোর্ড সূত্রে জানা যায়, কনস্টেবল পদে প্রায় চার হাজার প্রার্থী আবেদন করেছিল। গত ৮, ৯, ১০ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনা পুলিশ লাইন্স মাঠে তাদের শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

 

শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ৯৫৭ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে ২২০ জন ভাইভা ও মনস্তাত্তিক পরীক্ষার জন্য মনোনীত হন। তাদের মধ্যে ৮৬ জন চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন।

 

চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, সরকার নির্ধারিত মাত্র ১২০ টাকা (ব্যাংক ড্রাফট-১০০ টাকা এবং ফর্ম বাবদ-২০ টাকা) খরচ করে পুলিশে চাকরি পাব, তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি।

 

তারা আরো বলেন, আগে পুলিশের চাকরি পেতে হলে, কোনো না কোনো মাধ্যম ধরে ৫-৭ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েও চিন্তায় থাকতে হতো চাকরিটা হবে কি না। এতে অনেক অভিভাবক ছেলেকে পুলিশে চাকরি পাওয়ার জন্য ঋণ করে অথবা জমি বিক্রি করে ঘুষের টাকা জোগাড় করে সর্বস্ব হারাতেন।

 

কিন্তু বর্তমান জেলা পুলিশ সুপার (ফয়েজ আহমেদ) এর দৃশ্যপট বদলে দিয়েছেন। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ পেয়ে বিশ্বাস হলো ঘুষ ছাড়াও পুলিশের চাকরি হয়।

 

আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ স্যারকে। তিনিই শিখালেন, সততার মাঝেই আছে শান্তি।

 

ভোরের আকাশ/নি