logo
আপডেট : ১ মার্চ, ২০২৩ ১১:১০
শ্রেণিকক্ষে স্থান সংকুলান না হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত
কাশেম হাওলাদার, বরগুনা

শ্রেণিকক্ষে স্থান সংকুলান না হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত

ইটবাড়িয়া কদমতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ। ছোট্ট পরিসরের কক্ষে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে

কাশেম হাওলাদার, বরগুনা: বরগুনা সদরে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে স্থান সংকুলান না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে গাদাগাদি করে পাঠ গ্রহণ করছে। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের জন্য ছোট্ট পরিসরের মাত্র তিনটি কক্ষ রয়েছে।

 

নানাবিধ সংকটের মধ্য দিয়ে স্থানীয় নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় পাবলিক পরীক্ষায় প্রতিবছর ভালো ফল অব্যাহত থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে আসেনি স্কুলটি। সরেজমিনে গিয়ে বরগুনা সদরের ইটবাড়িয়া কদমতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে এমন চিত্র দেখা যায়।

 

জানা যায়, ইটবাড়িয়া কদমতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ বরগুনা সদর উপজেলার আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নের কদমতলা বাজারের প্রাণকেন্দ্রে ৫ একর ৪৩ শতাংশ জমির ওপর ১৯৬৪ সালে স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টি স্থাপনের পর থেকেই সুনামের সঙ্গে এগুতে থাকলে স্থানীয়সহ দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীরাও এখানে লেখাপড়া করে।

 

ইটবাড়িয়া কদমতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ ১৯৯৯ সালে এমপিওভুক্ত হয়। বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বারোশর উপরে। ২১ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও বর্তমানে ১৪ জন কর্মরত রয়েছেন। ১৯৯৪ সালে ৬ কক্ষবিশিষ্ট একটি দ্বিতল ভবন নির্মিত হয়েছে। যেটি ব্যবহৃত হচ্ছে একাডেমিক ও ল্যাবরেটরি ভবন হিসেবে। ভবনটির অবস্থাও সংকটজনক। জরাজীর্ণ ভবনটি যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়ে বড় ধরনের অঘটন ঘটাতে পারে।

 

ছোট্ট পরিসরের একটি শ্রেণিকক্ষে নবম শ্রেণির শতাধিক শিক্ষার্থী পাঠদান করছেন। শারমিন জাহান নামের এক শিক্ষার্থী জানান, একটি বেঞ্চে ৪-৫ জন করে বসতে গিয়ে অস্বস্তিকর পরিবেশে ক্লাস করতে হচ্ছে। রুমের আয়তন অনুপাতে অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থী একত্রে থাকায় প্রতিনিয়তই কোলাহলযুক্ত পরিবেশ থাকে। একটানা তিন চার ঘণ্টা রুমের মধ্যে থাকলে মাথা ঝিম ধরে যায়।

 

কদমতলা ইটবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের প্রিন্সিপাল আলহাজ বশির উদ্দিন বলেন, প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই এই বিদ্যালয়টি অত্যন্ত কৃতিত্বের সঙ্গে ভালো ফল করছে। বিদ্যালয়ের নিজস্ব পর্যাপ্ত জমি থাকা সত্তেও বহুতল ভবনের অভাবে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এই বিদ্যালয়ে প্রতি বছর বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

 

বর্তমানে পাবলিক পরীক্ষার সব ধরনের কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এই বিদ্যালয়ে কোনো নেটওয়ার্কের সুবিধা না থাকায় পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাপক ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়।

 

তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ের জমি লাগোয়া স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে স্কুলের জমি দখল করে আছে। স্কুলের জমি উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

 

ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও আয়লা পাতাকাটা (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, বিদ্যালয়টিতে বহুতল ভবন না থাকায় বিপুল পরিমাণ ছাত্রছাত্রী লেখাপড়ার স্বাভাবিক পরিবেশে চালিয়ে যেতে পারছে না।

 

সংশ্লিষ্ট উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের বরাবরে বহুতল ভবন পাওয়ার জন্য আমরা একাধিকবার দ্বারস্থ হলেও অদ্যাবধি ভবন বরাদ্দের আশ্বাস পাইনি।

 

ভোরের আকাশ/নি