logo
আপডেট : ১ মার্চ, ২০২৩ ১২:১৭
নবীগঞ্জে কাশ্মীরি কুলের বাম্পার ফলন
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

নবীগঞ্জে কাশ্মীরি কুলের বাম্পার ফলন

নিজের বাগানে হাসিমুখে নবীগঞ্জের কুলচাষি আজিজুর রহমান

নবীগঞ্জে কাশ্মীরি কুলের বাম্পার ফলন হয়েছে। সেই সঙ্গে ভালো দাম পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। এতে নতুন করে এ কুল চাষে উৎসাহী হচ্ছেন স্থানীয়রা।

 

কৃষি বিভাগ জানায়, উপজেলায় আগে আপেল কুল ও বাউ কুলের চাষ হলেও এখন নতুন জাতের কাশ্মীরি কুলের চাষ বেড়েছে। প্রচলিত আপেল কুল ও বাউ কুলের চেয়ে আকারে বেশ বড় এই কাশ্মীরি কুল। এটি আকারে বড়, অধিক মিষ্টি, রসালো, পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং ফলনও হয় বেশি।

 

দিঘলবাক ইউনিয়নের কুল চাষি নজরুল ইসলাম জানান, কাশ্মীরি কুল চাষে কয়েকবার ফলন পাওয়া যায়। সহজেই পরিচর্যা করা যায়। উৎপাদন খরচ কম; তেমন পোকার উপদ্রব নেই।

 

কুলচাষি আজিজুর রহমানের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, নতুন জাতের এই কুলের গাছে থোকায় থোকায় কাশ্মীরি কুল ঝুলে আছে। ফলের ভারে গাছগুলো নুয়ে পড়েছে।

 

আরেক চাষি নুর মিয়া বলেন, ‘চার বন্ধু মিলে ৭ বিঘা জমিতে কুলের চাষ করেছি। প্রতি গাছে ১০-১৫ কেজি কুল পাওয়া যাবে। এতে খরচ হয়েছে ৬-৭ লাখ টাকা। ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে কুল বিক্রি হচ্ছে।’

 

নবীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা একেএম মাকসুদুল আলম জানান, নবীগঞ্জের আবহাওয়া ও মাটি কুল চাষের জন্য উপযুক্ত।

 

গত বছরের তুলনায় এবার কুলের ভালো ফলন হয়েছে। বেড়েছে কুল আবাদের পরিমাণ।

 

ভোরের আকাশ/নি