logo
আপডেট : ১ মার্চ, ২০২৩ ১২:৩২
কুমিল্লার টিক্কারচরে মাছ ধরার মহোৎসব
কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার টিক্কারচরে মাছ ধরার মহোৎসব

কুমিল্লার গোমতী নদীতে মাছ ধরার উৎসবে মৎস্য শিকারিরা

কুমিল্লার গোমতী নদীতে মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠেছে মানুষ। মৎস্য শিকারিদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর উপজেলার টিক্কারচর এলাকায় মাছ ধরার এই উৎসবে যোগ দেন আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষজন।

 

ভোর থেকেই টিক্কারচরে পলো, ছিটাজাল, মই জালসহ মাছ ধরার নানা সরঞ্জাম নিয়ে মানুষজন হাজির হন গোমতী নদীর পাড়ে। এরপর তারা একত্র হয়ে মাছ শিকারে নামেন। উৎসবে যোগ দেয়া মানুষ রুই, কাতল ও কার্প জাতীয় মাছ ছাড়াও বোয়াল, আইড়, শোলসহ দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছ শিকার করেছেন।

 

টিক্কাচর এলাকার দুলাল মিয়া বলেন, প্রতি বছর আমরা মাছ ধরা উৎসবের অপেক্ষায় থাকি। প্রথমে উৎসবের দিন নির্ধারণ করা হয়। পরে হাট-বাজারে ঘোষণা করে সবাইকে জানিয়ে দেয়া হয়। এরপর নির্ধারিত দিনে সবাই ওই চরে গিয়ে মাছ ধরার উৎসবে হাজির হন। বরাবরের মতো সবাই মাছ ধরার উৎসবে সামিল হয়েছে।

 

কুমিল্লার গোমতী নদীতে মাছ ধরার উৎসবে মাছ ধরতে আসা হাসান আলী বলেন, আমি প্রতি বছর বিভিন্ন এলাকায় মাছ ধরতে যাই। এবার টিক্কারচরে মাছ ধরতে এসেছি। একটি বড় রুইসহ একাধিক মাছ শিকার করেছি। সবাই মিলে মাছ ধরার মধ্যে আলাদা আনন্দ আছে।

 

টিক্কারচর এলাকার মাছ শিকারি মনিরুল ইসলাম বলেন, আমার পূর্বপুরুষরা এই উৎসবে অংশ নিয়েছেন। আমরাও নিচ্ছি। সবাই মিলে মাছ ধরার মাঝে একটা অন্যরকম আনন্দ আছে। কয়েকটি বড় মাছ ধরতে পেরেছি। অনেকে আমার চেয়ে আরো বেশি মাছ শিকার করেছেন।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লার প্রবীণ মো. রুহুল আমিন সাবের বলেন, আমরা আগে গোমতী নদীতে মাছ ধরতাম। বড় বড় আইড়, বোয়াল, রুই এবং কাতল মাছ ধরতাম। এখনো এ নদীতে মাছ পাওয়া যায়। তবে আমাদের আমলে বেশি মাছ ধরা পরতো।

 

কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাছান রফি রাজু জানান, প্রতি বছরই এই সময়টাতে কুমিল্লার নানা প্রান্তের সৌখিন মাছ শিকারিরা টিক্কারচর এলাকায় একত্রিত হয়ে মাছ শিকারে নামেন। এতে একটা উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। তবে এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। এরপরেও মানুষ একত্রে মাছ ধরে। সেখানে মাছ ধরার জন্য উৎসবের আমেজ তৈরি হয়।

 

ভোরের আকাশ/নি