logo
আপডেট : ২ মার্চ, ২০২৩ ১১:০৫
পুঠিয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের মেঝে ও দেয়ালে ফাটল: ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী
অজয় ঘোষ, রাজশাহী ব্যুরো

পুঠিয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের মেঝে ও দেয়ালে ফাটল: ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী

পুঠিয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে

অজয় ঘোষ, রাজশাহী ব্যুরো: মুজিব বর্ষে ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত রাজশাহীর পুঠিয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের কিছু ঘরের দেয়ালে ফাটল ও ঘরের মেঝে এবং বারান্দা ফেটে বসে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বর্তমানে ডাঙ্গাপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের শিল্পী বেগম, আছিয়া বেগম এবং রশেনা বেগম এদের তিন জনের ঘরের পিছন সাইডে দেওয়াল ফেটে গেছে।

 

সেই দেয়ালগুলোতে ইতিপূর্বে সিমেন্ট বালির মসলা দিয়ে নামমাত্র প্লাষ্টার করে দেয়া হয়। কিন্তু সেসব ঘরের দেয়ালে আবার ফাটল দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয় ঘরের মেঝের চারদিকে এবং বারান্দায় চারদিকে ফাটল এবং ফেটে বসে গেছে। এছাড়া অনেক ঘরে বর্ষার সময় পানি পড়ে। ঘরগুলোর যেকোন সময় বড় ধরনের ক্ষতিসাধন হতে পারে বলে জানায় তারা।

 

উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলায় মুজিব বর্ষে ১ম পর্যায়ে ৫৪টি, ২য় পর্যায়ে ১১০টি এবং ৩য় পর্যায়ে ১৮০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে ৪র্থ পর্যায়ে ২৫৪টি ঘর নির্মাণ কাজ চলছে।

 

জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের মধুখালী মৌজায় ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে আর.এস খতিয়ান নং ১, দাগ নং ৩১৮৫, জমির পরিমাণ ৩১ শতক। সেই জমির উপর মুজিব বর্ষে ভ‚মি ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১৩টি ঘর নির্মাণ করা হয়।

 

সেই ঘরগুলো বরাদ্দ পান-হনুফা বেগম, সাগর আলী, হালিমা বেগম, রুপজান বেগম, মন্টু আলী, জাকির হোসেন, আকলিমা বেগম, শিল্পী বেগম, আছিয়া বেগম, আনোয়ারা বেগম, সনেকা বেগম, রসেনা বেগম (তবে তিনি থাকে তার পূর্বের বাড়িতে আর সরকারী আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকে ছেলে রুবেল ও তার স্ত্রী) এবং মাজদার হোসেন।

 

ঘর নির্মাণের পর থেকে ঘরের দেয়ালে ফাটল এবং মেঝেতে ফাটলের বিষয়ে পত্রিকায় এবং অনলাইনে সংবাদ প্রচার হয়। এরপর সুবিধাভোগীরা যারা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছে তাদেরকে ঘর থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। সেই মিটিং-এ বলা হয় সাংবাদিকদের ঘরের বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারবে না। তাই সাংবাদিকরা আশ্রয়ন প্রকল্পে গেলে তারা আতংকে থাকে এবং সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে না।

 

স্থানীয়রা এবং সুবিধাভোগীরা বলেন, এখানকার সব ঘরেই ফাটল ও ঘরের মেঝে ও বারান্দা ভেঙ্গে বসে গেছে। তবে আপনারা এসেছেন দেখে যান। কারণ এর আগে নিউজ প্রচার হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসে সুবিধাভোগী আকলিমা বেগমকে ঘর থেকে বের করে দিতে লেগে ছিলো। আর বলে গেছে কোন সমস্যা হলে আমাদেরকে জানাবেন। কোন সাংবাদিককে জানানো হলে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হবে। তাই আমরা আপনার সাথে কথা বলতে পারবো না।

 

জিউপাড়া ইউনিয়নের সদস্য (মেম্বর) হুমায়ন বলেন, প্রথম দিকে ঘর যখন ফাটল দেখা দিয়েছিলে। সে সময় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। তখন পিআইও অফিস থেকে কিছু ঠিকঠাক করে দেয়। বর্তমানে কি অবস্থা তা আমার জানা নাই।

 

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, কোথায় এই ঘটনা ঘটেছে বলেন সেগুলো ঠিকঠাক করে নেব।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ জানান, কোথায় কোন ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে বলেন। ঘরে ফাটলের বিষটি নজরে আসেনি। তবে বিষয়টি দেখবো।

 

ভোরের আকাশ/নি