logo
আপডেট : ৪ মার্চ, ২০২৩ ১৪:১০
ফকিরহাটে ইউএনওর বিরুদ্ধে তদন্ত করল জেলা প্রশাসন
বাগেরহাট প্রতিনিধি

ফকিরহাটে ইউএনওর বিরুদ্ধে তদন্ত করল জেলা প্রশাসন

ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন কর্তৃক উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মিজানুর রহমানের গায়ে হাত তোলার ঘটনার সরেজমিন তদন্ত করেছে জেলা প্রশাসন।

 

শুক্রবার সকালে ফকিরহাট বিশ্ব রোড সংলগ্ন এলএসডি গোডাউন (কাঁঠালতলা) সংলগ্ন ঘটনাস্থলে ভুক্তভোগী শেখ মিজানুর রহমান, প্রত্যক্ষদর্শী জাহিদুল ইসলাম ও মোল্যা হাবিবুর রহমানের সাক্ষ্য গ্রহণ ও তাদের কাছ থেকে লিখিত জবানবন্দি গ্রহণ করেন বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্র্রেট মো. আরিফুল ইসলাম। পরে অভিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

 

বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মিজানুর রহমান বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে গরুর ফার্মে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাঁঠালতলা মোড় এলাকায় পৌঁছালে দ্রুত গতিতে ইউএনওর গাড়িটি ব্যাকে (পেছনে) আসে।

 

তখন ইউএনওর গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলের সামান্য ধাক্কা লাগে। পরে ইউএনও গাড়ি থেকে নেমে এসে মিজানুর রহমানকে মুখে থাপ্পড় দেয় এবং গাড়িতে তুলে দেড় ঘণ্টা আটকে রাখে। পরে লোকজন জড়ো হলে তাকে ছেড়ে দেয়। এ নিয়ে প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়।

 

কাঁঠালতলা এলাকায় থাকা একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, খুলনা-মাওয়া মহাসড়ক দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িটি ফলতিতার দিকে যাচ্ছিল। মাত্র তিন সেকেন্ডের ব্যবধানে গাড়িটি পুনরায় পেছনে আসে।

 

তখন পার্শ্ব রাস্তা থেকে উঠে আসা মিজানুর রহমানের মোটরসাইকেলের সঙ্গে ইউএনওর গাড়িটির সামান্য ঘষা লাগে। প্রথমে গাড়িচালক নিচে আসেন। পরে ইউএনও গাড়ি থেকে নামেন এবং মো. মিজানুর রহমানকে থাপ্পড় দেন।

 

এরপর গাড়ির পেছনে উঠিয়ে নিয়ে চলে যান ইউএনও।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মিজানুর রহমান বলেন, ইউএনও কর্তৃক শারীরিক লাঞ্ছিত হওয়ায় প্রশাসন আমাকে আশ্বস্থ করেছে।

 

এ বিষয়ে তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। যেহেতু এটা প্রশাসনের ব্যাপার তাই তারা যেটা ভালো মনে করবেন আমি তাই মেনে নেব।

 

বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলামের কাছে তদন্ত সম্পর্কিত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।

 

ভোরের আকাশ/নি