৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস (International Womens Day)। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে এই দিনটিকে বিশেষ ভাবে পালন করা হয়। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও।
একজন শিশুকন্যা থেকে তরুণী হয়ে ওঠা এবং তরুণী থেকে মা কিংবা সাধারণ এক মহিলা থেকে পেশাগত জীবনে অসাধারণ হয়ে ওঠা নিয়ে প্রতিটি মহিলার জীবনেই কিছু না কিছু লড়াইয়ের কাহিনি থাকে। সেই লড়াইকেই কুর্নিশ জানায় নারী দিবস। তবে কোথাও যেন একটা ছেদ রয়ে গিয়েছে। রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনীতি সমস্ত জায়গায় আজ মেয়েরা সাফল্য অর্জন করলেও কন্যাভ্রূণ হত্যা চলছে আজকের দিনেও।
‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও উদযাপিত হচ্ছে বিশ্ব নারী দিবস। এ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ বাণীতে তারা বিশ্বের সকল নারীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, তাদের কাজের প্রশংসা এবং ভালোবাসা প্রকাশ করে বিশ্ব নারী দিবসকে মহিলাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য অর্জনের উৎসব হিসেবেই পালন করা হয়।
১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউ ইয়র্ক সিটিতে প্রথম নারী দিবস পালন করা হয়। নারী শ্রমিকদের প্রতি শদ্ধা দেখিয়ে এই দিন উদযাপন শুরু হয়। ১৯১৭ সাল থেকে এই দিনটি রাশিয়াতেও উদযাপন শুরু হয়। তবে পরে রাশিয়াতেই দিনটি পালিত হতে শুরু হয় ৮ মার্চ থেকে।
আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালের ৮ মার্চ দিনটিকে প্রথম বিশ্ব নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সদস্য রাষ্ট্রদের নারী অধিকার ও বিশ্ব শান্তি রক্ষার জন্য জাতিসংঘ দিবস হিসাবে ৮ মার্চকে ঘোষণা করার আহ্বান জানায়।
এরপর থেকে এই দিনটিই এই উপলক্ষ্যের জন্য নির্দিষ্ট হয়ে আছে। বর্তমানে এই দিনটি বিশ্বজুড়ে পালিত হয়।
বিশ্ব নারী দিবস সারা বিশ্বে নারীত্বের একটি মহান উদযাপন।
ভোরের আকাশ/নি