রাজধানীর তুরাগে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের টাকা ডাকাতির ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। সেইসঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৮৭ লাখ টাকা।
শনিবার (১৮ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
তিনি জানান, সাভারের হেমায়েতপুর থেকে শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা পৌঁছে দিতে যাওয়ার সময় মাইক্রোবাস আটকে চার ট্রাঙ্ক টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার সকালে তুরাগ এলাকায়। টাকা পরিবহন করছিলো বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের কর্মীরা।
এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই উত্তরার তুরাগ থানা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া টাকার মধ্যে ৯ কোটি টাকা উদ্ধারের কথা জানায় ডিবি পুলিশ। পরে টাকা গণনা করে পাওয়া যায় ৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। ঘটনাটি ডাকাতি বা ছিনতাই বলা হলেও তখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি ডাকাত দলের কেউ। ওই সময়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মানি প্ল্যান্টের পরিচালকসহ সাতজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর রোববার দুপুরে এ বিষয়ে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেছে ডিবি। সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ জানান, শনিবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও সুনামগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংকের টাকা ছিনতাইয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বনানী থেকে সানোয়ার হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ১ কোটি ১৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে মিলন ওরফে ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয় বনানী এলাকা থেকে। পরে তার জোয়ার সাহারার বাসায় অভিযান চালিয়ে আরও ৩২ লাখ ৪৭ হাজার ৫শ’ টাকা উদ্ধার হয়। আকাশ ও সাগর নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয় উত্তরা থেকে। তাদের বাসা থেকে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয় বলে জানান হারুন অর রশীদ। এছাড়া গোয়েন্দা পুলিশের আরেকটি দল সুনামগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বদরুল আলম, মিজানুর রহমান, সনাই মিয়া ও এনামুল হক বাদশাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভোরের আকাশ/আসা