logo
আপডেট : ১৯ মার্চ, ২০২৩ ১৭:৩৩
দাম কমেছে ডিমের, মাছ-মুরগিতে স্বস্তি নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক

দাম কমেছে ডিমের, মাছ-মুরগিতে স্বস্তি নেই

বেড়েই চরছে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম। চাল, ডাল থেকে আটা, ময়দা, ভোজ্য তেল, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, মুরগি, চিনি, ডিম সবকিছুর দামই বাড়তি। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়তি দামে বিক্রি হওয়া মুরগি ও মাছের দাম এখনো কমেনি।

 

তবে ডিমের দামে কিছুটা আশা জাগছে। বর্তমানে কিছুটা কমতির দিকে ডিমের দাম। যদিও পুরোনো ধারাবাহিকতায় রমজানে নিত্যপণ্যের দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা ক্রেতাদের।

 

রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। বিএনপি কাঁচাবাজারে সাধারণত অন্য বাজারের তুলনায় নিত্যপণ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি মেলে। তবে বর্তমানে এই বাজারেও স্বস্তির কোনো তথ্য নেই নিত্যপণ্যের দামে।
বর্তমানে মাছ কম ধরা পড়ছে। মূলত এ কারণে দাম বাড়তি বলে দাবি বিক্রেতাদের। মাছের মান ও প্রকারভেদে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।

 

বর্তমানে প্রতিকেজি ছোট টেংরা ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আইড় প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, পাবদা ৩০০ টাকা, রুই ২৬০ টাকা, কাতলা ২৮০ টাকা, মৃগেল ২২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বড় টেংরা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা দরে। ছোট চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা প্রতি কেজি। এছাড়াও মাঝারি মানের চিংড়ি ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

মাছ বিক্রেতা মোহাম্মদ রজমান বলেন, নদীতে মাছ কম ধরা পড়ছে। এ কারণে দাম বাড়তি। সব ধরনের মাছের দাম হঠাৎ করেই কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

 

এদিকে, বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা। বাজারে দেশি মুরগির সরবরাহও কম। ফলে দাম কমার সম্ভাবনা দেখছেন না বিক্রেতারা। এছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৩৫ থেকে ২৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

অন্য নিত্যপণ্যের সঙ্গে বাড়ছে সবজির দামও। সবজি ভেদে কেজিতে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি পটল ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৮০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা, মুলা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও শিম ৪০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা ও দেশি টমেটো ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

প্রতিটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। তবে শজনে ডাঁটার দাম কিছুটা কমে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সবকিছুর বাড়তি দামের মধ্যে কিছুটা আশা জাগাচ্ছে ডিম। বিগত কয়েকদিনে হালি প্রতি ২ থেকে ৫ টাকা কমেছে ডিমের দাম। দেশি মুরগির ডিম প্রতি হালি ৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও ফার্মের মুরগির ডিম ৪৫ টাকা ও হাঁসের ডিমের হালি ৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

 

এদিকে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া ফেব্রুয়ারি মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, এ সময়ে মূল্যস্ফীতির হার ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। অথচ গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ।

 

অর্থাৎ এক বছর আগে ১০০ টাকার পণ্যে ৬ টাকা ১৭ পয়সা দাম বেড়েছিল, অথচ বর্তমানে তা বেড়েছে ৮ টাকা ৭৮ পয়সা।

 

ভোরের আকাশ/নি