না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান। আজ মঙ্গবার সকাল ১১টায় গুলশানে নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। ৭৩ বছর বয়সী এম. খালেকুজ্জামান কয়েক মাস ধরে বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন।
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, এম. খালেকুজ্জামানের নামাজের জানাজা কুর্মিটোলার একটি মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে বিকাল ৫টায়।
শুধু ছোটপর্দায় নয়, বড়পর্দায়ও কাজ করেছেন এম. খালেকুজ্জামান। নিপুণ অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। যার নেশা ও পেশা ছিল অভিনয়। বহু নাটকে বাবা চরিত্রের অন্যতম সফল অভিনেতা তিনি।
খালেকুজ্জামানের জন্ম বগুড়ার শান্তাহারে। বাবা ডা. শামসুজ্জামান ছিলেন ব্রিটিশ রেলওয়ের মেডিকেল অফিসার। মা শায়েস্তা আক্তার জামান ছিলেন গৃহিনী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য ও চারুকলা বিভাগের প্রথম মাস্টার্স ডিগ্রীধারীদের একজন তিনি। দেশ স্বাধীনের বেশকয়েক বছর পর খালেকুজ্জামান ১৯৭৫ সালে বিটিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী হন। তার আগে স্কুল কলেজ জীবনের তিনি অসংখ্য মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন।
তিনি প্রথম নওয়াজেশ আলী খানের প্রযোজনায় ‘সর্পভ্রমে রজ্জু’ নাটকে অভিনয় করেন। এরপর তিনি ধারাবাহিক নাটক ‘তমা’, ‘বড় বাড়ি’, ‘সময় অসময়’, ‘সুবর্ণ সময়’সহ বহু নাটকে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। নায়করাজ রাজ্জাক ও কবরীর সঙ্গে ‘অনিবার্ণ’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন।
চলচ্চিত্রে দীর্ঘদিন বিরতির পর মুরাদ পারভেজ’র ‘বৃহন্নলা’য় অভিনয় করেন। এরপর তিনি শিহাব শাহীনের ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
তার অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা অনম বিশ্বাসের ‘দেবী’।
ভোরের আকাশ/নি