logo
আপডেট : ২৩ মার্চ, ২০২৩ ১৯:৫৫
বগুড়ার সেই বিচারক প্রত্যাহার
নিজস্ব প্রতিবেদক

বগুড়ার সেই বিচারক প্রত্যাহার

স্কুলে শ্রেণিকক্ষ ছাড়ু দেয়াকে কেন্দ্র করে অভিভাবককে পা ধরতে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠায় বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিন প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয় সংযুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. মিজানুর রহমানের স্বাক্ষরে বৃহস্পতিবার একটি আদেশ জারি করা হয়েছে। বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মাকে ওই বিচারকের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের জেরে ওই বিচারককে প্রত্যাহারের ঘটনা ঘটল।

 

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। জানা যায়, বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিনের মেয়ে বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ওই স্কুলের নিয়মানুযায়ী, সব শিক্ষার্থীর পালাক্রমে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়ার কথা থাকলেও বিচারকের মেয়ে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে ২০ মার্চ রাতে ফেসবুকে সহপাঠীদের কটাক্ষ করে একটি পোস্ট লেখে বিচারকের মেয়ে। এতে কয়েকজন সহপাঠী ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় পরদিন ২১ মার্চ সকালে স্কুলের অভিভাবক সমাবেশে এসে বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিন ৩ শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবককে শিক্ষকের মাধ্যমে ডেকে আনেন। ফেসবুকে তাকে ও তার মেয়েকে নিয়ে ‘অপমানজনক কথা’ বলা হয়েছে এমন দাবি করে সাইবার অপরাধের অভিযোগে মামলা করার হুমকি দেন তিনি।

 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, একপর্যায়ে এক শিক্ষার্থীর মাকে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন ওই বিচারক। সেসময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোছা. রাবেয়া খাতুন সেই বিচারকের পক্ষ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধমকান বলেও অভিযোগ। যদিও প্রধান শিক্ষিকা ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষার্থীরা বাড়িয়ে বলেছেন। এর জেরে ওইদিনই শিক্ষার্থীরা স্কুলের সামনে সড়ক অবরোধ করে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে ওইদিন রাতেই বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিনকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।

 

ভোরের আকাশ/আসা