অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট থেকে দেশকে উদ্ধারে একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা’ (রোডম্যাপ) তুলে ধরে শাসকগোষ্ঠীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
রোববার লাহোরের মিনার-ই-পাকিস্তান এলাকায় এক সমাবেশ থেকে দেশকে সংকট থেকে উদ্ধারে ১০ দফা পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
ইমরান খান বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, দেশকে বাঁচানোর কোনো পরিকল্পনা বা অভিপ্রায় ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠীর নেই। আমি এসব থেকে দূরে সরে যাব, যদি তারা (সেনাবাহিনী ও ক্ষমতাসীনেরা) বলতে পারে, তাদের একটি পরিকল্পনা আছে। কিন্তু আমি জানি, পরিকল্পনা কোথায়। আদতে কোনো পরিকল্পনা নেই।
দেশকে সংকট থেকে উদ্ধারে ১০ দফা পরিকল্পনা ঘোষণা করে ইমরান খান বলেন, এই পরিকল্পনা পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক সংকট থেকে উদ্ধার করবে। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে প্রবাসী পাকিস্তানিদের সরাসরি পাকিস্তানে বিনিয়োগে অনুপ্রাণিত করতে হবে। এটা হলে বারবার আইএমএফের দ্বারস্থ হতে হবে না।
পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দল নির্বাচিত হলে তার সরকার পর্যটন খাতের উন্নয়নে পদক্ষেপ নেবে। সরকারের আয় বাড়ানোর জন্য খনিজ সম্পদ খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে।
ইমরান খান বলেন, পিটিআই আবার ক্ষমতায় গেলে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেবে। এ ছাড়া চীনের সহায়তায় দেশের কৃষিজ উৎপাদন বাড়াতে যা যা প্রয়োজন, করা হবে।
একই সঙ্গে সরকারের যে বাজেটঘাটতি আছে, তা আরও কমিয়ে আনবে। গৃহনির্মাণের যে সরকারিভাবে অর্থায়নের কর্মসূচি আছে, তা আবার শুরু করবে। বস্তিবাসীর জন্য ঘর নির্মাণ করবে। হেলথ কার্ড আবার চালু করা হবে।
দেশকে সংকট থেকে উদ্ধারে এমন আরও কিছু পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন ইমরান খান।
তার মতে, পাকিস্তানে বর্তমানে যেসব সংকট চলছে, এসব সংকট থেকে উত্তরণের ‘সহজ কোনো পথ’ নেই। এ জন্য কঠিন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এসব কঠিন কঠিন সিদ্ধান্ত শুধু সরকারই নিতে পারে। কারণ, দেশের জনগণ সেই অধিকার শুধু সরকারকে দিয়েছেন।
গত বছরের এপ্রিলে জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাবের পর ক্ষমতাচ্যুত হন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইসলাম (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান। এরপর তিনি বেশ কয়েকটি মামলার আসামি হন।
ভোরের আকাশ/নি