মধুর আছে নানা গুনাগুন যেমন, গলার স্বর যন্ত্রের জন্য, বার্ধক্য অনেক দেরিতে আসে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, শরীর ও ফুসফুসকে শক্তিশালী করে, জিহ্বার জড়তা দূর করে, মধু মুখের দুর্গন্ধ দূর করে, বাতের ব্যথা উপশম করে, মাথা ব্যথা দূর করে, ওজন বৃদ্ধি করে, ব্যায়ামকারীদের শক্তি বাড়ায় ইত্যাদি।
আসুন জেনে নেই মধুর উপকারিতাগুলো:
১। ওজন কমাতে সাহায্য করে: মধুতে কোন চর্বি নেই। তাছাড়া মধু পেট পরিষ্কার, হজমে সহায়তা করে এবং চর্বি কমায়। এর ফলে নিয়মিত মধু খেলে আপনার আপনার ওজন কমতে থাকবে।
২। হজমের সমস্যা: মধুর উপাদানগুলি হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত মধু খেলে আপনার বদ হজম দূর হবে।
৩। বুদ্ধি বাড়ে: মধু খেলে আপনার মস্তিকের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যার ফলে আপনার বুদ্ধি বাড়ে। রাতে ঘুমানোর আগে একটু মধু খেলে আপনার বুদ্ধি বাড়তে সাহায্য করবে।
৪। অনিদ্রা ও ঘুমের জন্য সহায়ক: মধু ঘুমের জন্য খুবই উপকারি। রাতে ঘুমানোর আগে একটু মধু খেলে আপনার অনিদ্রা চলে যাবে এবং আপনার ভাল ঘুম হবে। তাই মধুকে ঘুমের ঔষধও বলা যেতে পারে।
৫। ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: আমাদের সবারই কম বেশি ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স। যা আপনার ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। ১ চামচ মধু ভোর বেলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া দূর হবে।
৬। যৌন দুর্বলতায়: অনেকেই আছে যারা যৌন দূর্বলতায় ভুগছেন বা দ্রুত বীর্যপাত হয় অথবা যৌন ইচ্ছা কমে যাচ্ছে তারা আজকে থেকে মধু খেতে পারেন। মধুর উপকারিতার মধ্যে এটা খুবই উপকারিত একটি ঔষধ হিসাবে কাজ করে।
৭। পাকস্থলীর সুস্থতায়: মধু খেলে পাকস্থলী সুস্থ থাকে। কেননা মধুর ফলে আপনার হজম শক্তি বাড়ে যেকারনে মধু খেলে পাকস্থলীর কাজ জোরালো হয়। এর ফলে পাকস্থলীর ভাল কাজ করে এই মধু।
৮। হৃদরোগে দূর করতে: মধু খেলে আপনার হৃদরোগ ভাল হয়। এক চামচ মৌরি গুঁড়োর সঙ্গে এক বা দুই চামচ মধু মিশিয়ে খান। এটা হৃৎপেশিকে সবল করে এবং এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৯। রক্ত ও রক্তনালী পরিষ্কার: মধু যদি আপনি নিয়মিত খাতে পারেন তাহলে আপনার রক্তনালী পরিষ্কার হবে এবং কোন দূষিত পদার্থ জমা হতে পারবে না। এর ফলে রক্তনালীর বিভিন্ন সমস্যা দূর হবে শুধুমাত্র মধু খাওয়ার ফলে।
১০। রক্ত উৎপাদনে: রক্ত উৎপাদনে মধু বিশেষ ভূমিকা পালন করে। মধুতে প্রচুর পরিমানে আয়রন থাকে যা রক্ত উৎপাদনে সাহায্য করে।
১১। কোলেস্টেরলের ক্ষেত্রে: মধু কোলেস্টেরল কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
১২। হাঁপানি: আপনি যদি হাঁপানি রোগে ভুগে থাকেন তাহলে আজকে থেকে মধু খাওয়া শুরু করুন। মধু হাঁপানি রোগ কমাতে সাহায্য করে।
১৩। পেশিশক্তি বাড়াতে ও দুর্বলতা দূর করতে: মধুতে আছে প্রাকৃতিক চিনি যা শরীরের পেশিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং অনেকেই আছে যাদের শরীর দূর্বল বা ঘুম ঘুম ভাব থাকে তারাও মধু খাওয়ার মাধ্যমে দূর্বতলা দূর করতে পারে।
১৪। হাড় ও দাঁতের গঠনে বা দাঁতের যত্নে: মধুতে আছে ক্যাসলিয়াম আর আমরা জানি যে ক্যালসিয়াম দাঁতের এবং হাড়ের জন্য খুবই কার্যকারি। ক্যাসলিয়ামের অভাব পূরন করে আবার অনেকের দাতে পাথর জমে তারা মধু খেতে পারেন। দাত এবং হাড়কে সুস্থ ও সবল রাখতেও মধু নিয়মিত খেতে পারেন।
১৫। দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে: অনেকের দৃষ্টি শক্তি অনেক কম এবং অনেকে চসমা ব্যবহার করে। দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে আপনি নিয়মিত মধু খেতে পারেন।
১৬। সর্দি কাশি কমাতে: সর্দি বা কাশি আমাদের নিয়মিত একটি সমস্যা। আপনার সর্দি কাশি কমাতে এবং সুস্থ থাকতে নিয়মিত মধু খাওয়া উচিত। শিশুদের জন্য এটি খুবই উপকারি।
১৭। শরীরে তাপমাত্রা বাড়াতে: অনেকের অনেক সময় শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে নিয়মিত মধু সেবন করুন এতে উপকার পারেন।
১৮। তারুণ্য ধরে রাখতে, রূপচর্চায় বা চুলের যত্নেঃ মধু আপনার তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে। আবার রূপচর্চা বা চুলের যত্নেও বিশেষ কাজ করে। পাশাপাশি সৌন্দয্য বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
১৯। উচ্চ রক্তচাপ কমায়: মধু উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং যৌন সমস্যার সমাধানে কাজ করে।
২০। রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ায়: মধুতে আছে অনেক গুনাগুন এবং উপকারিতা। আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ হয় এবং সেই রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে আপনি নিয়মিত মধু খেতে পারেন। সুস্থ জীবন এবং সুস্থ থাকতে আপনার নিয়মিত মধু খাওয়া উচিত। ব্যাকতেরিয়ার আক্রমত থেকে রক্ষা করে এই মধু।
তাই নিয়মিত সুস্থ রাখতে মধু খান। মধুকে প্রাকৃতিক ঔষধ ও বলা হয়।
ভোরের আকাশ/নি