জ্ঞানার্জনের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে বই। বই পাঠ মানব ভাবনাকে করে পরিশুদ্ধ ও ব্যক্তিত্বকে করে সুস্পষ্ট। নবীন পুলিশ সদস্য, থানায় আসা সেবাপ্রার্থী ও আসামিদের মধ্যে পাঠাভ্যাসের এই প্রচলন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে ‘বুক কর্নার’ চালু করেছে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানা।
চার শতাধিক বইয়ের সংগ্রহ নিয়ে মঙ্গলবার এ বুক কর্নারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা।
কোতোয়ালি মডেল থানার অভ্যর্থনা কক্ষে দুটি সেলফ নিয়ে চালু করা বুক কর্নারটিতে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক, ধর্মীয়, শিশুতোষ, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, উপন্যাস ও রচনা সমগ্রসহ নানা বিষয়ের চার শতাধিক বই।
ক্রমান্বয়ে বাড়বে এর সংখ্যা। কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দের উদ্যোগে বুক কর্নারটি স্থাপন করা হয়েছে। থানায় বই পড়ার এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সেবাপ্রার্থীরা।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, বুক কর্নারটি মূলত নবীন পুলিশ সদস্যদের জন্য। তবে অনেক আসামিও বই পড়তে চায়। সেবা নিতে আসা মানুষও অভ্যর্থনা কক্ষে পড়তে পারবে বই।
বই পড়ার আগ্রহ বৃদ্ধি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগটি নেয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা ভোরের আকাশকে বলেন, থানায় বুক কর্নার স্থাপন একটি অনন্য উদ্যোগ। এর মাধ্যমে সেবাপ্রার্থী ছাড়াও পুলিশ সদস্যরা বই পড়ায় অভ্যস্ত হতে পারবে। সবার মধ্যে পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি পাবে।
আমি মনে করি, এটি একটি ইতিবাচক পরিবর্তন। থানা ও পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের মনোভাব আরো ইতিবাচক হবে। পর্যায়ক্রমে জেলার সব থানাতেই এমন উদ্যোগ গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে।
বুক কর্নার উদ্বোধনের সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহীনুল ইসলাম ফকির, কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন, পুলিশ ইন্সপেক্টর অপারেশন ওয়াজেদ আলী, ১নং ফাঁড়ি ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন, ২নং ফাঁড়ি ইনচার্জ সুমন, ৩নং ফাঁড়ি ইনচার্জ সামদানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/নি