logo
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৭:১৯
ব্রয়লার মুরগিতে কারসাজির নেপথ্যে কারা খুঁজে বের করুন : ক্যাব
নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্রয়লার মুরগিতে কারসাজির নেপথ্যে কারা খুঁজে বের করুন : ক্যাব

গত এক মাসে কতিপয় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে শুধু ব্রয়লার মুরগিতে কারসাজির মাধ্যমে ১ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে দাবি করে এর পেছনে মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

 

বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ব্রয়লার মুরগিসহ নিত্যপণ্যের কারসাজিতে দায়ীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনে এ দাবি জানান ক্যাবের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন। এ সময় ক্যাবের নেতারা ছাড়াও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক (সিপিবি) রুহিন হোসেন প্রিন্স বক্তব্য দেন।

 

নাজের হোসাইন বলেন, এ রমজানে মানববন্ধনে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছি। দেশের সাধারণ মানুষ বাজারে যেতে ভয় পায়। একশ্রেণির ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। অতিমুনাফাবাদীদের জন্য সাধারণ মানুষের জীবন এখন বিপন্ন। কাউকে আধাবেলা খেতে হয়, কেউ না খেয়ে থাকতে হয়।

 

এসব ব্যবসায়ীরা কখনো চিনি, কখনো তেল, কখনো মুরগির দাম কারসাজি করে। শুধু গত এক মাসে অসাধু ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগিতে এক হাজার কোটি টাকা কারাসাজি করেছে, লুণ্ঠন করেছে। শুধু ব্রয়লার মুরগিতেই যদি এক হাজার কোটি টাকা কারসাজি হয়, তাহলে অন্যান্য পণ্যে কত টাকা কারসাজি হয়েছে, লুটপাট হয়েছে। আমাদের কথাগুলো সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এখানে দাঁড়িয়েছি।

 

অবিলম্বে এসব কারসাজিকারী ব্যবসায়ী এবং নেপথ্যে থাকা গংদের খুঁজে বের করে শাস্তি আওতায় আনুন। যদিও এখন পর্যন্ত কারসাজির দায়ে কোনো ব্যবসায়ীর শাস্তির নজির নেই। প্রতিযোগিতা কমিশন থেকে একটি মামলা করা হয়েছিল, সেটিও আলোর মুখ দেখছে না।

 

নাজের হোসেন বলেন, প্রতিযোগিতা কমিশনকে আরো শক্তিশালী এবং কার্যকর করতে হবে। এই কারসাজির সঙ্গে করা যুক্তদের চিহ্নিত করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ইতোমধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছে। অবিলম্বে এসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এই দুষ্টচক্রকে ভেঙে দিতে হবে। না হয় কখনো বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন না।

 

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, করপোরেট ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়িয়েছে। এবার সরকারি প্রতিষ্ঠান তদন্ত করে সামনে নিয়ে এসেছে। তার মানে এটা প্রমাণিত, কতিপয় ব্যবসায়ী এই কারসাজিতে দায়ী।

 

এসব ব্যবসায়ী নতুন পদ্ধতি চালু করেছে, যে পণ্য ধরবে সেখানে হাজার কোটি টাকা কারসাজি করবে। প্রিন্স বলেন, এজন্য আমরা খুদে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্টতা দেখতে হবে। তেল, গম, ডিম, মুরগির সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।

 

সার্বজনীন রেশন ব্যবস্থা চালুসহ সরকারি উদ্যোগে বিকল্প বাজার ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দিতে হবে। এ মুহূর্তে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কতিপয় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর পক্ষ নেবে, নাকি জনগণের পক্ষে থাকবে।

 

মানববন্ধনে ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূইয়া, বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহব্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় তরুণ সংঘের চেয়ারম্যান ফজলুল হক ও ন্যাপের সাংগঠনিক সম্পাদক মিতা রহমান ও সাধারণ ভোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

ভোরের আকাশ/নি