ঈদেও পদ্মা সেতু দিয়ে বাইক চলবে না, বিকল্প রুট হিসেবে শিমুলিয়া ফেরি চালু করে মোটরসাইকেল পারাপারের কথা জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে নৌপথে সুষ্ঠুভাবে নৌযান চলাচল সংক্রান্ত ‘ঈদ ব্যবস্থাপনা সভা’ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ আছে, সে কারণে আমরা চেষ্টা করছি শিমুলিয়ায় বিকল্প ব্যবস্থা করতে। বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।
গত বছর পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বাড়তি চাপের কারণে দুই দিনের মাথায় মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সেতু দিয়ে বাইক চালুর দাবি জানিয়ে আসছিলেন বাইকাররা। বাইকারদের অনেক দিনের দাবি যেন পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচলের সুবিধা পায়।
এ বিষয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিমুলিয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কাজেই আমরা চেষ্টা করছি সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ফেরি চালু করতে। শিমুলিয়া যদি চালু করি, তাহলে দু’বার পদ্মা সেতু ক্রস করতে হবে। সেজন্য তাদের অনুমতির প্রয়োজন আছে। আবার সরাসরি যদি চ্যানেল তৈরি করি তাহলে বিদ্যুৎ বিভাগেরও অনুমতির প্রয়োজন আছে।
অনুমতি সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা নেব। প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু মাওয়া হাইওয়ে নয়, ধীরে ধীরে সব হাইওয়েতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হবে। এটার গতিসীমাও নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও হাইওয়েতে অবাধ মোটরসাইকেল চলাচলের ব্যবস্থা নেই।
কাজেই আমাদের এগুলো মানতে হবে। দেখা যাচ্ছে, ঢাকা থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। তার শারীরিক সক্ষমতা, মোটরসাইকেলের সক্ষমতা সব মিলিয়ে যেকোনো মুহূর্তে একটা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সরকারের দায়িত্ব মানুষকে নিরাপত্তা দেয়া। মানুষকে নিরাপদ রাখার জন্য আমাদের শক্ত হতে হবে।
শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে কতদিন মোটরসাইকেল চলবে এমন প্রশ্নে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জানিয়ে দেব। প্রস্তুতির জন্য সেতু কর্তৃপক্ষ ও বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে কথা বলতে হবে এবং ড্রেজিং করতে হবে।
সেগুলো করে আমরা জানাব।
ভোরের আকাশ