logo
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২৩ ১৫:৫৫
আসক প্রতিবেদন
তিন মাসে ৫৬ সাংবাদিক নির্যাতন-হয়রানির শিকার
নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন মাসে ৫৬ সাংবাদিক নির্যাতন-হয়রানির শিকার

দেশে গত তিন মাসে ৫৬ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি, মামলা ও পেশাগত কাজে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। একই সময়ে ১২৪ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১২ জনকে। এছাড়া পারিবারিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে ৬৮ নারীকে হত্যা করা হয়েছে। আর ৩৫৩ শিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে।

 

শুক্রবার মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ১০টি জাতীয় দৈনিক ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ ও নিজস্ব সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বলা হয়েছে।

 

এমন অবস্থায় মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে আইনের শাসন ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা অত্যাবশ্যকীয় পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করে আসক। আসক রাষ্ট্রের কাছে নাগরিকের সব ধরনের মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার দ্রুততার সঙ্গে নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়। অন্যথায় বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা পাবে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত ঘটনা বাড়তে থাকবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন মাসে ধর্ষণের শিকার হয়ে এক নারী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। ৩৪ জন নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। এছাড়া পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ১১৬ জন নারী। এদের মধ্যে ৬৮ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে এবং আত্মহত্যা করেছেন ৩০ জন। শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৮ নারী।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে তিন মাসে মোট ৩৫৩ শিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে হত্যার শিকার হয়েছে ৫২ শিশু এবং ১ জন ছেলে শিশুকে বলাৎকারের পর হত্যা করা হয়েছে। আত্মহত্যা করেছে ২৫ শিশু। বিভিন্ন সময়ে মোট ৪৫ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ৩ শিশুর। এছাড়া বলাৎকারের শিকার হয়েছে ৭ ছেলে শিশু এবং বলাৎকারের চেষ্টা করা হয়েছে ৩ জন শিশুকে।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক ৩ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১ জন পুলিশ কর্তৃক এবং ২ জন র‌্যাব কর্তৃক নিহত হন। এসময়ে ৫টি ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩টি বাড়িঘরসহ ১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ১৫টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ১ জন নিহত ও কমপক্ষে ৬২ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১০৩টি বাড়ি ও ৩৩টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন মাসে বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় নির্বাচনসহ রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে মোট ১০২টি। এতে নিহত হয়েছে ৬ জন এবং আহত হয়েছে প্রায় ১৩৭৪ জন।
সীমান্ত হত্যার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএসএফ-এর গুলি ও নির্যাতনে নিহত হয়েছেন ৫ বাংলাদেশি। আহত হয়েছেন ৬ জন।

 

ভোরের আকাশ/আসা