logo
আপডেট : ১ এপ্রিল, ২০২৩ ১৫:৫১
ফুলবাড়ীতে জনপ্রিয় হচ্ছে পোকা দমনের পার্চিং পদ্ধতি
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

ফুলবাড়ীতে জনপ্রিয় হচ্ছে পোকা দমনের পার্চিং পদ্ধতি

পোকা দমনে ধানি জমিতে গাছের ডাল, দড়ি, বাঁশের কঞ্চি পোঁতা হয়েছে। ছবিটি ফুলবাড়ী থেকে তোলা

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় বোরো ধানের ক্ষেতে পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পার্চিং পদ্ধতি। ধানি জমিতে গাছের ডাল, দড়ি, বাঁশের কঞ্চি পোঁতা হয়।

 

সেগুলোর ওপর বিভিন্ন প্রজাতির পাখিরা বসে ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে ফেলে। পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার এই পার্চিং পদ্ধতি ফসলের পোকা দমনের জন্য কার্যকর এবং পরিবেশবান্ধব।

 

এই পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন খরচ ও কীটনাশকের ব্যবহার কমে পাওয়ায় এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে উপজেলার কৃষকদের মাঝে। অনেক কৃষক বোরো ফসলের খেতে কীটনাশক পরিহার করে পোকা দমনে সহজ ও লাভজনক পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করছেন।

 

জেলার কৃষকরা দুই ধরনের পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন কৃষকরাÑ ডেড পার্চিং ও লাইভ পার্চিং। মরা ডালপালা পুঁতে দিয়ে ডেড পার্চিং আর জীবন্ত ধইঞ্চা লাইভ পার্চিং।

 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে উপজেলায় মোট ১৪ হাজার ১৩২ হেক্টর জমিতে ধান চাষাবাদ হয়েছে। তার মধ্যে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬১ হাজার ৬১৬ টন। যা প্রতি বিঘায় গড়ে ৪ দশমিক ৩৬ টন।

 

গত বছরে উপজেলায় ১৪ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে মোট ৬১ হাজার ৫৬৩ টন ধান উৎপাদন হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকাসহ সঠিক সময়ে চারা লাগানো থেকে শুরু করে সেচ দেয়া ও সার সংকট না থাকায় ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

 

উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের কৃষক লালু মিয়া, সাইফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান জানান, তারা তাদের বোরো ধানের জমিতে পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। এতে খেতের পোকা দমনে খুব একটা কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়নি।

 

তারা আরো জানান, বিঘা প্রতি জমিতে তারা প্রায় ৮টি বাঁশের আগা, কঞ্চি, ডাল পুঁতে দিয়েছে।

 

ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার জানান, এটি একটি জৈবিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতি ব্যবহারে ডাল বা কঞ্চির ওপর পাখি বসতে পারে। ধান ক্ষেতের ক্ষতিকারক পোকা খেয়ে ফেলে ওই পাখিগুলো। ফলে কৃষকদের পোকা দমনের জন্য কেমিক্যাল ব্যবহার করতে হয় না।

 

এতে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হয় পাশাপাশি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

 

ভোরের আকাশ/নি