logo
আপডেট : ২ এপ্রিল, ২০২৩ ১৬:৩৮
জনসমাগমস্থলে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশ হাইকোর্টের
নিজস্ব প্রতিবেদক

জনসমাগমস্থলে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশ হাইকোর্টের

সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, সরকার নিয়ন্ত্রিত শপিং মল, বিমানবন্দর, বাসস্ট্যান্ড ও রেলওয়ে স্টেশনের মতো জনসমাগমস্থলে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

 

বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রায় দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দেয়া হয়েছে।

 

৯ মাস বয়সী শিশু উমাইর বিন সাদী ও তার মা অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসানের করা এক রিট আবেদনে ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর ওই রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

 

কক্সবাজার বিমানবন্দরে মায়ের বুকের দুধ খেতে না পারা ৯ মাস বয়সী শিশু উমাইর বিন সাদী ও শিশু সন্তানকে দুধ খাওয়াতে না পারা মা অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এই রিট আবেদন করেন।

 

আদালতে তিনি নিজেই শুনানি করেন। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট তানজিলা রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।

 

রায়ের পর আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিলের পরিপ্রেক্ষিতে রুল, নির্দেশনাগুলো এবং চূড়ান্ত শুনানির পর আজ হাইকোর্ট এ যুগান্তকারী রায় ঘোষণা করলেন। আমাদের সংবিধানের ৩২নম্বর অনুচ্ছেদে স্বীকৃত অন্যতম মৌলিক অধিকার জীবনের অধিকার বিষয়ে এ রায় নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক রায়।

 

তিনি বলেন, হাইকোর্টের অন্তবর্তীকালীন নির্দেশের পর এরইমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ব্রেস্টফিডিং কক্ষ স্থাপিত হয়েছে। আর মা ও শিশুর অধিকার রক্ষায় আজকের এই যুগান্তকারী রায় পূর্ণ বাস্তবায়ন হলে কর্মজীবী নারীরা শিশুদের কর্মক্ষেত্রে রেখেই স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারবেন।

 

তিনি বলেন, কর্মস্থল, বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, শপিংমলসহ সকল জনবহুল স্থানে শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর নিরাপদ পরিবেশ সম্বলিত ব্রেস্ট ফিডিং কক্ষ ও বেবি কেয়ার কর্নার স্থাপন সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের জন্য একটা উদাহরণ সৃষ্টি করবে, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য অনুসরণীয় হবে।

 

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে বেড়ানো শেষে ঢাকায় ফেরার পথে কক্সবাজার বিমানবন্দরে বিড়ম্বনার শিকার হয় ৯ মাস বয়সী শিশু উমাইর বিন সাদী ও তার মা। প্রচন্ড ক্ষিধায় কান্না জুড়ে দেয়। শিশুটির কান্না থামাতে মা বুকের দুধ খাওয়ানোর উদ্যোগ নেন।

 

কিন্তু তার মা এই ছেলে শিশুটিকে দুধ খাওয়ানোর কোনো পরিবেশই পাচ্ছিলেন না। শিশুটি কান্না বেড়েই যাচ্ছিল। এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি করেও শিশুটিকে দুধ খাওয়াতে পারছিলেন না অসহায় মা। শেষ পর্যন্ত বিমানবন্দরে নারী যাত্রীদের চেকিং-এ দায়িত্বরত এক কর্মীকে রাজি করিয়ে সেখানে দুধ খাওয়ানো হয় শিশুটিকে।

 

দুধ খাওয়ার পর শিশুটির কান্না থামে। এরকম বিড়ম্বনার শিকার শিশুটি নিজের নিরাপদে দুধ খাওয়া এবং শিশুটি অবুঝ হওয়ায় তার মা দুধ খাওয়ানোর পরিবেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

 

আগেই হাইকোর্টের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে শিশুটিকে বাদী করা হয়।

 

ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এ রিট আবেদন করা হয়।

 

ভোরের আকাশ/নি