সাবেক পর্ন তারকাকে মুখ বন্ধ রাখতে অর্থ দেওয়ার মামলায় অভিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউ ইয়র্কে ম্যানহ্যাটনের ফৌজদারি আদালতে হাজির হওয়ার পর যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ট্রাম্পকে হাতকড়া পরানো না হলেও তার আঙুলের ছাপ নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আদালতকক্ষে যাওয়ার আগে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং পুলিশ কাস্টডিতে রাখা হয়েছে।
এর আগে তাকে বহন করা গাড়ি বহর যেনো নির্বিঘ্নে আদালতে পৌঁছাতে পারে তাই নিউ ইয়র্কের ব্যস্ত সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ট্রাম্পই প্রথম কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট, যিনি আদালতে বিবাদীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে চলেছেন।
তার আগে ট্রাম্পকে অপরাধীর মতো দাঁড়িয়ে মুখচ্ছবি তোলার জন্য পোজ দিতে হবে কিনা সেটি এখনও স্পষ্ট জানা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিবিসি।
তবে সোমবার ট্রাম্পের এটর্নি অ্যালিনা হাব্বা সিএনএন কে বলেছিলেন, যেহেতু ট্রাম্প ‘বিশ্বে সবচেয়ে পরিচিত মুখ’ তাই তার মুখচ্ছবি (মাগশট) নেওয়া উচিত নয়। তাছাড়া, এরকম ছবি নেওয়া হয় পরিচিতির জন্যই।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের মুখচ্ছবি তোলার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ম্যানহ্যাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি আলভিন ব্র্যাগ।
৩০ মার্চ নিউ ইয়র্কের ম্যানহ্যাটনের গ্র্যান্ড জুরি আদালত ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের মূলে রয়েছেন স্টর্মি ড্যানিয়ালস নামে একজন সাবেক পর্ন তারকা।
যিনি অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক ছিল এব ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ওই সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্প গোপনে তার আইনজীবীর মাধ্যমে তাকে মোটা অংকের অর্থ প্রদান করেন।
ড্যানিয়ালসের এই অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসকেই নাড়িয়ে দিয়েছে বলা যায়। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের আইনে সাবেক ওই পর্ন তারকার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক থাকা নিয়ে কোনো বাধা নেই। কিন্তু গোল বেঁধেছে গোপনে অর্থ প্রদান নিয়ে।
যদিও ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
ভোরের আকাশ/নি