logo
আপডেট : ৫ এপ্রিল, ২০২৩ ১৬:০৫
শিক্ষার্থী নির্যাতন: তদন্ত প্রতিবেদন জমার ৩৬ দিনেও নেয়া হয়নি ব্যবস্থা
রাবি প্রতিনিধি

শিক্ষার্থী নির্যাতন: তদন্ত প্রতিবেদন জমার ৩৬ দিনেও নেয়া হয়নি ব্যবস্থা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী কৃষ্ণ রায়কে নির্যাতনের পর মেরে ‘শিবির’ বলে চালিয়ে দেয়ার হুমকির ঘটনা ঘটে। এতে অভিযুক্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম ইসলাম ও যুগ্ম সম্পাদক মো. সোলাইমানকে স্থায়ীভাবে ছাত্রত্ব বাতিলসহ ৪ দফা সুপারিশ করেছিলেন তদন্ত কমিটি। কিন্তু তদন্ত কমিটির সুপারিশপত্র জমা দেয়ার ৩৬ দিনেও কার্যকর হয়নি।

 

সুপারিশ কার্যকর হওয়ার আগের প্রাথমিক ধাপগুলোর একটি অর্থাৎ শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং এখন পর্যন্ত বসেনি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অত্র হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, এত বড় একটা সেনসিটিভ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতি কখনোই কাম্য নয়।

 

একাত্তর সালেও এমন ঘটনা ঘটেনি। তাহলে কি দোষীরা সবসময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে? তাদের কি কোনো শাস্তি হবে না? প্রশাসনের উচিত দ্রুতই সুপারিশগুলো কার্যকর করা।

 

হলে নির্যাতনের এ ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে হল প্রশাসন। প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল ৩ দিন। কিন্তু সব তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে হল প্রাধ্যক্ষের কাছে তদন্ত জমা পড়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি।

 

অর্থাৎ তদন্ত কমিটি গঠনের ১৩ দিন পরে। পরে ওই দিন বিকেলে হল প্রাধ্যক্ষ তদন্ত কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটি মিটিংয়ে বসে। সেই মিটিংয়ে অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে স্থায়ীভাবে ছাত্রত্ব বাতিলসহ ৪ দফা সুপারিশ করে শৃঙ্খলা কমিটির কাছে।

 

কিন্তু সুপারিশের ৩৬ দিন পেরোলেও এখনো পর্যন্ত শৃঙ্খলা কমিটির কোনো সভাই অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে অভিযুক্তরা এখনো শাস্তির বাইরে।

 

এ বিষয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে ছাত্রত্ব বাতিলসহ ৪ দফা সুপারিশ জমা দেয় শৃঙ্খলা কমিটির কাছে।

 

কিন্তু শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং এখনো বসেনি। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা এক সপ্তাহ আগেও প্রশাসনকে বলেছি যাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, আমার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা রয়েছে। উপাচার্য সময় দিতে না পারায় এখন পর্যন্ত শৃঙ্খলা কমিটি মিটিং হয়নি।

 

ফলে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং না হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপাচার্য কেন সময় দিচ্ছেন না, সেটা আমি জানি না।

 

ভোরের আকাশ/নি