logo
আপডেট : ১০ এপ্রিল, ২০২৩ ১৮:০১
দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ দুদকের অনুসন্ধান শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ দুদকের অনুসন্ধান শুরু

দুবাইয়ে অবস্থানরত ৪৫৯ বাংলাদেশি নাগরিকের সম্পদ ক্রয়ের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

 

একইসঙ্গে তিন সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে বলে সোমবার সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

 

এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশনার পরপর দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক বলেন, আমরা জেনেছি সুপ্রিম কোর্ট আমাদের তদন্ত করতে বলেছে। তবে আদেশটা হাতে পাইনি। আদেশ পেলেই আমরা অবশ্যই তদন্ত করব। তদন্ত করে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করা হবে।

 

দেশ থেকে অর্থ পাচার হয়ে থাকলে আমরা কাউকে ছাড় দেব না। গত ১৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাসের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে দুবাইয়ে অবস্থানরত ৪৫৯ বাংলাদেশি নাগরিকের সম্পদ ক্রয়ের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

 

এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফইউজে) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দিয়েছেন।

 

বিভিন্ন সূত্রে আরো জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ (সি৪এডিসি) গত বছরের মে মাসে তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে উপসাগরীয় দেশগুলোয় মূলত পাচার করা অর্থ দিয়ে আবাসন সম্পদ কেনার বিষয়টি তুলে ধরলে এটা সামনে আসে।

 

তথ্য লুকিয়ে ৪৫৯ জন বাংলাদেশি দুবাইয়ে মোট ৯৭২টি আবাসন সম্পদের মালিক হয়েছেন। এজন্য তারা ব্যয় করেছেন ৩১৫ মিলিয়ন ডলার। এসব সম্পদের মধ্যে ৬৪টি দুবাইয়ের অভিজাত এলাকা দুবাই মেরিনা ও ১৯টি পাম জুমেইরাহতে অবস্থিত।

 

যেখানে অন্তত ১০০টি ভিলা ও কমপক্ষে ৫টি ভবনের মালিক বাংলাদেশি বলে জানা গেছে। চার থেকে পাঁচজন বাংলাদেশি প্রায় ৪৪ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তির মালিক।

 

যদিও প্রতিবেদনে কারো নামপরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

 

ভোরের আকাশ/নি